আরজি কর মামলা নিয়ে বড় আপডেট। নির্যাতিতার পক্ষের আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার সরে দাঁড়ালেন এই মামলা থেকে। কলকাতা হাইকোর্ট, ট্রায়াল কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে এই বৃন্দা গ্রোভারই এতদিন ধরে মামলা লড়ছিলেন নির্যাতিতার পরিবারের হয়ে। বৃন্দা গ্রোভারের আইনি দলের তরফে জানানো হয়েছে, 'কিছু নির্দিষ্ট কারণ ও পরিস্থিতির' জন্য মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যদিও সূত্রের খবর, আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভারের সঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারের মধ্যে অনেক বিষয় খাপ খাচ্ছিল না। দুই পক্ষের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ছিল। এই নিয়ে বৃন্দা গ্রোভারের চেম্বার থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বিনামূল্যে নির্যাতিতার পক্ষে আইনি লড়াই করছিলেন বৃন্দা গ্রোভার ও তাঁর দল। গ্রোভারের সেই দলে আইনজীবী সৌতিক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অর্জুন গুপ্তুও ছিলেন। তাঁরা এই মামলায় একাধিক কোর্টে অনেকবার প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ, 'এই সময়ের মধ্যে, ৪৩ জন সাক্ষীর বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। অন্য অভিযুক্তদের জামিনের আবেদনের ধারাবাহিকভাবে বিরোধিতা করা হয়েছে। আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার এবং তাঁর আইনি সহযোগীরা শুধুমাত্র আইন, প্রমাণ এবং পেশাদার নীতিমালা মেনে আইনি পরিষেবা প্রদান করেন। কিন্তু কিছু কারণ ও পরিস্থিতির কারণে গ্রোভারস চেম্বার এই মামলার প্রক্রিয়া থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছে। তারা আর নির্যাতিতার পক্ষে মামলা লড়বে না।'
মামলা থেকে নিজেদের নাম সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট আদালতকে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বৃন্দা গ্রোভারের দলের তরফে।
যদিও এই বিষয়ে তাঁদের কাছে কোনও তথ্য নেই বলে দাবি করেছেন নির্যাতিতার বাবা।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে ওঠে। আরজি কর কাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি হয়েছে। আগামী ১ মাসের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ হতে পারে। সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টের নতুন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে এই মামলা উঠেছিল।
মঙ্গলবার নতুন স্টেটাস রিপোর্ট দাখিল করে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চকে জানান, সোম থেকে বৃহস্পতিবার সিবিআই-এর বিশেষ আদালতে প্রতিদিন এই মামলার শুনানি চলছে। এখনও পর্যন্ত ৪৩ জন সাক্ষীর বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। ৮১ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। বিচার প্রক্রিয়ার এই অগ্রগতি শুনে সন্তোষ প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত।