scorecardresearch
 

RG Kar Case: 'যে অত্যাচার...', ভেঙে পড়লেন নির্যাতিতার বাবা, চোখ মুছলেন শুভেন্দু

মঙ্গলবার সকালে বিজেপি নেতা সজল ঘোষের সঙ্গে বিধানসভায় যান আরজি কর নির্যাতিতার মা-বাবা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করেন।

Advertisement
শুভেন্দুর সঙ্গে সাক্ষাৎ আরজি কর নির্যাতিতার মা-বাবার।  শুভেন্দুর সঙ্গে সাক্ষাৎ আরজি কর নির্যাতিতার মা-বাবার।
হাইলাইটস
  • বিধানসভায় নির্যাতিতার মা-বাবা।
  • তাঁদের নিয়ে গেলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ।
  • পাশে থাকার আশ্বাস বিরোধী দলনেতার।

বিধানসভায় গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করলেন আরজি কর নির্যাতিতার মা-বাবা। মঙ্গলবার সকালে বিজেপি নেতা সজল ঘোষের সঙ্গে বিধানসভায় যান তাঁরা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করেন। সেখানেই দেখা গেল, নির্যাতিতার বাবার চোখ মুছিয়ে দেন শুভেন্দু।

আরজি কর নির্যাতিতার মা-বাবাকে বিধানসভায় নিয়ে যান বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার ঘরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। সেই ঘরে শুভেন্দুর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির অন্য বিধায়করাও।

শুভেন্দুর সামনে নির্যাতিতার বাবা বলেন,'আরজি করে ময়নাতদন্ত করাব না বলেছিলাম। তখন এই করব, সেই করব বলে আরজি কর থেকেই করাল। টানা ২ ঘণ্টা বসে রইলাম মেয়ের দেহ পাওয়ার জন্য। এত হেনস্থা করেছিল! মেয়ের দাহ করার সময় পারলৌকিক কাজটুকু করতে পারিনি। তারপর ৩-৪ দিন ধরে যে অত্যাচার চলেছিল, সেটা ব্যাখ্যা করার ভাষা নেই। আমরা কাকে আইনজীবী রাখব, সেটাও পুলিশকে জানাতে হবে। আমাকে টাকা দিয়ে কেনার চেষ্টা হয়েছিল'। সেই সময়ই নির্যাতিতার বাবার চোখের জল মুছিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। 

আরও পড়ুন

কত টাকার অফার করেছিল? জানতে চান শুভেন্দু। নির্যাতিতার বাবা জানান,'১০ লক্ষ টাকা দিতে চেয়েছিল'।

নির্যাতিতার মা-বাবার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,'এখনই কর্মসূচি ঘোষণা করছি। ১০ তারিখে অপরাজিতা বিল নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে যাবেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। ১০ তারিখে সারাদিন রাজ্যপালের সামনে ধরনা দেব আমরা। ৯ তারিখের পরের বিচার চাইছে তৃণমূল। তাতেও পূর্ণ সমর্থন আছে। কিন্তু ৯ তারিখের বিচার বাদ দিলে চলবে না! ৫ দিন পুলিশের হাতে ছিল এই তদন্ত। থানার ওসি আর হাসপাতালের সুপার জেলে, এমন ঘটনা বিশ্বে বিরল। আমরা সবাই আছি আপনার সঙ্গে'।

Advertisement

সুবিচার চাইছেন নির্যাতিতার মা। বললেন,'আমার মেয়েটা কী অপরাধ করল! হাসপাতাল ওর দ্বিতীয় বাড়ি ছিলাম। আমি বলতাম, হাসপাতালে গেটে ঢুকে ফোন করবি, আমার আর চিন্তা থাকবে না। সুরক্ষিত জায়গায় তাকে নৃশংসভাবে খুন করা হল'। সেই রাতের পর থেকে আর শান্তি নেই জীবনে। মেয়ের কথাই ভেবে চলেছে মায়ের মন। তাঁর প্রশ্ন, আমাদের দেশের মহিলারা কী কাজের জায়গায় সুরক্ষিত? সেই রাতে আমার মেয়ের সঙ্গে কী ঘটেছিল?'

সঙ্গে আক্ষেপ,'আমার মেয়ের স্বপ্নপূরণ হতে দিল না'।

Advertisement