scorecardresearch
 

RG Kar Doctor Death: '৬ দিন অনেক,' মমতার 'ডেডলাইন' মানতে নারাজ ডাক্তাররা, কর্মবিরতিতেই অনড়

মুখ্যমন্ত্রীর এই আশ্বাসে আন্দোলনকারী ডাক্তারি ছাত্রছাত্রী এবং জুনিয়র চিকিৎসকরা সন্তুষ্ট নন। তাদের দাবি, "এতবড় নৃশংস ঘটনার পরেও কেন রবিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে? এত সময় নেওয়া যাবে না, আমরা চাই পুলিশ দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করুক অথবা বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হোক।"

Advertisement
আন্দোলনে আরজি করের চিকিৎসকরা। ফাইল ছবি আন্দোলনে আরজি করের চিকিৎসকরা। ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের নিহত ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন।
  • তিনি বলেছেন, আগামী রবিবারের মধ্যে পুলিশকে তদন্তের কিনারা করতে হবে।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের নিহত ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আগামী রবিবারের মধ্যে পুলিশকে তদন্তের কিনারা করতে হবে। যদি তারা ব্যর্থ হয়, তবে তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই আশ্বাসে আন্দোলনকারী ডাক্তারি ছাত্রছাত্রী এবং জুনিয়র চিকিৎসকরা সন্তুষ্ট নন। তাদের দাবি, "এতবড় নৃশংস ঘটনার পরেও কেন রবিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে? এত সময় নেওয়া যাবে না, আমরা চাই পুলিশ দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করুক অথবা বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হোক।"

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক শুভেন্দু সিকদার বলেন, "আমাদের একটাই দাবি, উপযুক্ত তৎপরতা নিয়ে দ্রুত তদন্ত করা হোক। ৬ দিন অনেক সময়, তাতে অনেক কিছু ঘটে যেতে পারে। আমরা চাই বিচার বিভাগীয় তদন্ত।" আন্দোলনকারীরা মনে করছেন, ধৃত সঞ্জয় রায়ের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে। তাদের সন্দেহ, মৃত ছাত্রীকে গণধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে এবং এতে ২-৩ জন জড়িত থাকতে পারে।

তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ তদন্তে ঢিমেতালে কাজ করছে, যা বাকি অভিযুক্তদের পলাতক হওয়ার সুযোগ করে দিতে পারে। তারা জোর দিয়ে বলছেন, দোষীদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করে দ্রুত কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

আরও পড়ুন

মুখ্যমন্ত্রী এদিন নিহত ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর জানান, "ওখানে তো বাকিরাও ছিলেন। তার মধ্যে কীভাবে এই ঘটনা ঘটল? মেয়েটির বাবাও বলেছেন, ভেতরের কেউ রয়েছে। আমি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি, যদি ভেতরের কেউ জড়িত থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।"

পুলিশ কমিশনারও জানিয়েছেন, তদন্তে কাউকে আড়াল করা হচ্ছে না এবং পুলিশ স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে। তবে আন্দোলনকারী ডাক্তারি ছাত্রছাত্রী ও জুনিয়র চিকিৎসকরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, ঘটনার সম্পূর্ণ এবং নির্ভুল তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। তাদের স্লোগান, "নো সেফটি, নো ডিউটি।"

Advertisement

 

Advertisement