আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুন বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। রবিবার শিয়ালদা কোর্টে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন সিবিআইয়ের আইনীজীবী। এ দিন শিয়ালদা কোর্টে তোলা হয় টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। তাঁকে ১৭ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
এ দিন সিবিআই জানিয়েছে, সকাল ১০টায় টালা থানায় আরজি কর হাসপাতাল থেকে ফোন গিয়েছিল। কিন্তু ঘটনাস্থলে সকাল ১১টায় পৌঁছন টালা থানার তৎকালীন ওসি। এফআইআর করা হয়েছে তারও ১২ ঘণ্টা পরে। অর্থাৎ রাত সাড়ে ১১টায়। ওই দিন টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে কথা হয়েছে সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে। এতে স্পষ্ট, দু'জনের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। সেই সঙ্গে সিবিআই এও জানিয়েছে,পুলিশের সঙ্গে সিবিআইয়ের কোনও দ্বন্দ্ব নেই। টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা দরকার। যাতে এ ব্যাপারে তথ্য পাওয়া যায়। তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন ওসি। এই তদন্তে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। কিন্তু তিনি যথাবিহিত পদক্ষেপ করেননি।
আর্থিক দুর্নীতির মামলায় ইতিমধ্যেই আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। সিবিআই আইনজীবী জানান, এবার সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় তারা। কল রেকর্ডের তথ্য বলছে, সন্দীপ আর অভিজিৎ মধ্যে যোগ ছিল। অভিজিৎ মণ্ডলের ৩ দিনের হেফাজত চান সিবিআই আইনজীবী। তা মঞ্জুর করে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁকে সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছেন শিয়ালদা কোর্টের বিচারক।
সিবিআই হেফাজতে আপত্তি তুলে অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবী সওয়াল করেন,'আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে যে ধারা দেওয়া হয়েছে তা জামিনযোগ্য। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এফআইআর দায়ের করতে বিলম্ব করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হতে পারে। কিন্তু এই অভিযোগে গ্রেফতার করা যায় না। সিবিআই যতবার ডেকেছে, ততবার সহযোগিতা করেছেন। অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। কিন্তু সিবিআইয়ের নোটিস পেয়ে হাজিরা দিয়েছেন। যদিও আগেও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। কিছুই মেলেনি। হঠাৎ করে গতকাল কী এমন মিলল যে তাঁকে অভিযুক্ত করে গ্রেফতার করা হল? আমরা জানার অধিকার আছে, কীসের ভিত্তিতে গ্রেফতারি হল?'