নবমীর বিকেলে মহাসমাবেশের ডাক দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ওই সমাবেশ যোগ দিতে আসা সাধারণ মানুষদের কাছে লিফলেট তুলে দেবেন তাঁরা। দেবাশিসের কথায়, সেখানে উল্লেখ থাকবে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিদাওয়ার কথা। উল্লেখ্য, জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফা দাবিতে আন্দোলনের সঙ্গে সাধারণ মানুষের কতটা যোগ রয়েছে— তা নিয়ে সম্প্রতি একটি মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সে ক্ষেত্রে এই লিফলেট বিলি করে জুনিয়র ডাক্তারেরা বোঝাতে চাইছেন, এই দশ দফা আন্দোলন কেবলমাত্র তাঁদের নিজস্ব ‘স্বার্থসিদ্ধি’-র আন্দোলন নয়। সাধারণ মানুষের দাবিদাওয়ার থেকে যে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিদাওয়া বিচ্ছিন্ন নয়, সেটাই সমাবেশ ও লিফলেটের মাধ্যমে কলকাতা তথা রাজ্যবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে চাইছেন দেবাশিসেরা।
কখন থেকে শুরু সমাবেশ?
সমাবেশ কখন থেকে শুরু হবে, তার কোনও নির্দিষ্ট সময় এখনও পর্যন্ত ঘোষণা করেননি জুনিয়র ডাক্তারেরা। দেবাশিস জানিয়েছেন, বিকেল ৫টা বা সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ শুরু হবে সমাবেশ। দেবাশিসের বক্তব্য, আরজি করের মতো ঘটনা যাতে আর কোথাও না ঘটে, তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন। অনিকেতের অসুস্থতা ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা উল্লেখ করে দেবাশিস বলেন, '১০ দফা দাবিতে আমাদের সহযোদ্ধারা নিজেদের জীবন বাজি রেখেছেন। তাঁদের প্রতি সংহতি দেখিয়ে প্রত্যেক মানুষের আবেগকে এখানে এনে জড়ো করুন।' প্রসঙ্গত, অনিকেত বর্তমানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতির দায় সরকার কেন নেবে না, সেই নিয়েও প্রশ্ন দেবাশিসের।
অসুস্থ ডাক্তার অনিকেত মাহাত
আমরণ অনশনের জেরে বৃহস্পতিবার জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতোর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আরজি কর হাসপাতালে। আপাতত সেখানেই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন তিনি। তাঁর চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যে পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এমন অবস্থায় আরও জোরালো আন্দোলনের বার্তা দিল ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট’। জুনিয়র ডাক্তারদের মিলিত মঞ্চের তরফে দেবাশিস হালদার নাগরিক সমাজকে আহ্বান জানালেন সংহতির বার্তা নিয়ে আন্দোলনের পাশে দাঁড়াতে। শুক্রবার বিকেলে ধর্মতলার অনশনমঞ্চ সংলগ্ন অঞ্চলে এক সমাবেশের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। শহরবাসীর উদ্দেশে দেবাশিসের বার্তা, “আমাদের সহযোদ্ধাদের লড়াই ও মানসিক দৃঢ়তার পাশে দাঁড়ান।”
বুধবারই সরকার পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু তা ফলপ্রসূ হয়নি বলেই দাবি তাঁদের। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, সরকার নতুন কিছু বলছে না। শুধু মৌখিক আশ্বাস দিয়ে অনশন তুলে নেওয়ার কথা বলছে। যদিও অনশন যে এ ভাবে উঠবে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। অন্য দিকে, অনশনকারীদের স্বাস্থ্যের অবস্থা বিবেচনা করে অনশন তুলে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন সিনিয়র ডাক্তারদের একাংশও। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আরজি করে ভর্তি করানো হয় অনিকেতকে।