RG Kar Hospital Doctor Rape-Murder: 'দেখি, মেয়ের আমার শরীরে কাপড় নেই,' হাসপাতালে সেই রাতের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা জানালেন পরিবার

এরপরের ঘটনা আরও ভয়াবহ। মা-বাবা হাসপাতালে পৌঁছে মেয়ের দেহ দেখতে চান। তখন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ বলে, অপেক্ষা করতে হবে। এরপর শুরু হয় অপেক্ষার পালা। ৩ ঘণ্টার উপর।

Advertisement
'দেখি, মেয়ের আমার শরীরে কাপড় নেই,' হাসপাতালে সেই রাতের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা জানালেন পরিবারআরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ধর্ষণ ও খুন
হাইলাইটস
  • চিত্‍কার করে কেঁদে ওঠেন মা
  • 'আপনাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে'
  • 'যেন কেউ ওর দুটি পা চিরে ফেলার চেষ্টা করেছে'

মেয়ের মৃত্যুর খবর কীভাবে হাসপাতাল দিয়েছিল? মেয়ের দেহ কতক্ষণ দেখতে কতক্ষণ হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করতে হয়েছিল? সেই রাতের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বিস্তারিত জানালেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ধর্ষিত ও খুন হওয়া তরুণী ডাক্তারের পরিবার। মৃত মেয়ের দেহ দেখাতেই সে দিন ৩ ঘণ্টার উপর সময় নিয়েছিল মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। ডাক্তার তরুণীর মা জানালেন, হাসপাতালের বাইরে তাঁদের ৩ ঘণ্টার উপর অপেক্ষায় থাকতে হয়েছিল। কেন এতক্ষণ অপেক্ষা, কী লোকানোর চেষ্টা হয়েছে ওই ৩ ঘণ্টায়, তা এখনও রহস্য পরিবারের কাছে। 

চিত্‍কার করে কেঁদে ওঠেন মা

নিহত তরুণী ডাক্তারের মা-বাবা ও অন্যান্য আত্মীয়ের সঙ্গে কথা বলে bangla.aajtak.in-কে । তরুণী ডাক্তারের বাবা জানান, তিনি যখন হাসপাতাল থেকে ফোন পান, তখনই আঁচ করেন, তাঁর মেয়ের সঙ্গে কিছু একটা হয়েছে। চিত্‍কার করে কেঁদে ওঠেন মা। তরুণী ডাক্তারের বাবার কথায়, 'ওর মা চিত্‍কার করে কেঁদে উঠল। হাসপাতাল থেকে ওরা বল, আপনার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আপনি তাড়াতাড়ি আসুন।' 

'আপনাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে'

সূত্রের খবর, সে দিন রাতে নিহত তরুণীর পরিবারকে ফোন করেছিলেন আরজি কর হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার। মৃতার পরিবারকে তিনিই জানিয়েছিলেন, মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। হাসপাতালে সেমিনার হলে দেহ পাওয়া গিয়েছে।মৃত তরুণী ডাক্তারের পাড়াতেই থাকেন এক আত্মীয়ের কথায়, 'ওদের বাড়ি থেকে চিত্‍কার করে কান্নার আওয়াজ পাচ্ছিলাম। শুনেই বাড়িতে যাই। জানলাম, হাসপাতাল থেকে ফোন করেছে, মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।'  

'যেন কেউ ওর দুটি পা চিরে ফেলার চেষ্টা করেছে'

এরপরের ঘটনা আরও ভয়াবহ। মা-বাবা হাসপাতালে পৌঁছে মেয়ের দেহ দেখতে চান। তখন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ বলে, অপেক্ষা করতে হবে। এরপর শুরু হয় অপেক্ষার পালা। ৩ ঘণ্টার উপর। ওই আত্মীয়ের কথায়, 'তিন ঘণ্টা পর ওরা বলল, শুধু বাবা দেখতে পারবেন দেহ। ছবি তুলতে পারবেন। আমরা ছবি দেখে স্তম্ভিত। গায়ে কাপড় নেই। পা ৯০ ডিগ্রি চেরা। যেন কেউ দুটো পা ধরে চিরে ফেলার চেষ্টা করেছিল ওকে। চশমা ভাঙা। চোখে চাপ রক্ত।'

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement