Junior Doctors Hunger Strike: জুনিয়র ডাক্তার অনুষ্টুপের অবস্থা সঙ্কটেই, টানা অনশনে বাড়ছে শারীরিক সমস্যা

অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তার অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এখনও তাঁর বিপদ কাটেনি। এমনটাই জানালেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারেরা। হাসপাতালে অনুষ্টুপকে তরল খাবার দেওয়া হচ্ছে। জ্ঞানও রয়েছে, তবে এখনও তিনি দুর্বল।

Advertisement
জুনিয়র ডাক্তার অনুষ্টুপের অবস্থা সঙ্কটেই, টানা অনশনে বাড়ছে শারীরিক সমস্যাএখন কেমন আছেন অসুস্থ জুনিয়র চিকিৎসক অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়?


জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশন নবম দিনে পড়েছে রবিবার।  ধর্মতলায় এখনও অনশনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। তাদের দশ দফা দাবিতে অনড় আন্দোলনকারীরা। অনশন মঞ্চের সামনে রাখা রয়েছে দুটি হাঁড়ি। যার নাম দেওয়া হয়েছে দুর্নীতির হাঁড়ি। সেখানে মানুষ তাদের অভিযোগ লিখে দিচ্ছেন। এই মুহূর্তে ধর্মতলায় আমরণ অনশন করছেন সাত জন ডাক্তার। উত্তরবঙ্গে রয়েছেন আরও এক জন। ১৮৬ ঘণ্টারও বেশি সময় অতিক্রান্ত তাঁদের অনশনের। তিন জন অনশনকারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অনশন মঞ্চে অসুস্থ হয়ে শনিবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন চিকিৎসক অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়। তাঁর শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। 

তবে শেষ পাওয়া খবের, রবিবার সকাল থেকে অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়ের  শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। অন্যদিকে, আরও দুই চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো এবং অলোক ভার্মার অবস্থাও স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।  শনিবার রাত ১০.৩০টা নাগাদ অনুষ্টুপের পেটে প্রবল যন্ত্রণা শুরু হয়। এরপর রাত ১১টা নাগাদ অ্যাম্বুল্যান্সে অনুষ্টুপকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা মেডিক্যালে। অনুষ্টুপকে ভর্তি করা হয় সুপার স্পেশালিটি ব্লকের সিসিইউ-এ। 'অনুষ্টুপের চিকিৎসায় কলকাতা মেডিক্যালে ৮ সদস্যের বোর্ড, রাখা হয়েছে সিসিইউতে, জানিয়েছেন কলকাতা মেডিক্যালের MSVP। অনুষ্টুপের শরীরের কোথা থেকে রক্তক্ষরণ, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের প্রধানের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তার অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এখনও তাঁর বিপদ কাটেনি। এমনটাই জানালেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারেরা। হাসপাতালে অনুষ্টুপকে তরল খাবার দেওয়া হচ্ছে। জ্ঞানও রয়েছে, তবে এখনও তিনি দুর্বল। শরীরে জলশূন্যতাও আছে। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন, অবস্থা স্থিতিশীল। কলকাতা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানিয়েছেন, কোথাও রক্তক্ষরণ হলে মলের রঙ কালো হয়ে যায়। এন্ডোস্কোপি করে দেখা হবে, কোথাও রক্তক্ষরণ হচ্ছে কিনা। নাড়ির গতি, রক্তচাপ-সবই স্বাভাবিক রয়েছে। সোডিয়াম,পটাশিয়ামও পরীক্ষা করা হয়েছে। আরও কিছু পরীক্ষা করা হবে। এই পর্যায়ে একটু গোলমাল হলে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টেরও সম্ভাবনা থাকে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। তাই চিকিৎসার সব দিক বিবেচনা করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে সময় লাগবে।

Advertisement

অনুষ্টুপের পায়ুদ্বার থেকে রক্ত আসছিল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, রবিবার সকালে অনুষ্টুপ ভালো আছেন। সিভিয়ার পেপটিক আলসার থেকে ব্লিডিং হচ্ছিল। ওষুধ দিয়ে সেটা সামলানো গিয়েছে। ৮০ মিলিগ্রামের হিউজ ইনজেক্টিবল প্যান্টোপ্রাজোল দেওয়া হয়েছে পরিস্থিতি সামলাতে। ব্লিডিং বন্ধ হয়েছে ভোর-রাত থেকে। ফলে রক্ত দিতে লাগেনি। বৃহস্পতিবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন আরজি করের জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো। এরপর  শনিবার রাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন অনশনরত ডাক্তারি পড়ুয়া অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়। শনিবার রাতে গ্রিন করিডর করে ধর্মতলার ধর্নামঞ্চ থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয় অনুষ্টুপকে। অন্যদিকে, শনিবার সকালে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ভর্তি করা হয় অলোক কুমার ভার্মাকে। রবিবার সকালে তিনি স্থিতিশীল আছেন বলে খবর। চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোর শারীরিক অবস্থা আগের থেকে উন্নতি করেছে বলে খবর।

POST A COMMENT
Advertisement