আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলাকে কেন্দ্র করে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাকারীরা আদালতে অভিযোগ জানিয়েছেন যে, এই ঘটনায় নির্যাতিতার নাম ও ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে, যা অত্যন্ত অসংবেদনশীল এবং অনুচিত।
নির্যাতিতার পরিচয় গোপন রাখা সংক্রান্ত আইনকে লঙ্ঘন করেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে নির্যাতিতার নাম প্রকাশ করা হয়েছে। এ কারণে, আদালতে আবেদন করা হয়েছে, সমস্ত সংবাদ প্রতিবেদন এবং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকে নির্যাতিতার নাম, ছবি ও ব্যক্তিগত তথ্য মুছে ফেলার জন্য।এই মামলার প্রাথমিক শুনানি দ্রুত সম্পন্ন হবে বলে জানানো হয়েছে। আদালত আগামীকাল রাজ্য সরকারকে এ বিষয়ে নোটিশ পাঠাবে এবং তাদের বক্তব্য জানতে চাইবে।
এদিকে, কলকাতা পুলিশও সামাজিক মাধ্যমে ভুয়ো তথ্য এবং গুজব ছড়ানোর বিষয়ে সতর্ক করে একটি পোস্ট করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তারা আন্তরিকতা এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে এই নারকীয় ঘটনার তদন্ত করছে। ইতিমধ্যে একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত ছিল কি না, সেই বিষয়ে তদন্ত চলছে। মৃতার পরিবারের সঙ্গে পুলিশের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে এবং তদন্তের প্রতিটি পদক্ষেপ তাঁদের জানানো হচ্ছে।
পুলিশ আরও বলেছে যে, বিভিন্ন ফেসবুক পোস্টে ঘটনা নিয়ে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তত্ত্ব ছড়ানো হচ্ছে, যা তদন্তের কাজে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। এই ধরনের পোস্ট ও গুজব না ছড়ানোর জন্য নেটিজেনদের প্রতি পুলিশের অনুরোধ জানানো হয়েছে। পুলিশ তাদের পোস্টে বলেছে, "আমরা সততা, আন্তরিকতা এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। আপনারা বিশ্বাস রাখুন, ন্যায়বিচার হবেই।"