ক্রমেই বাড়ছে চালের দাম। যার কারণে মাথায় হাত আম জনতার। চালের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে হেঁশেলে। ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের দাবি, মাস খানেকের ওপর হয়ে গেল মিনিকিট চালের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১০ থেকে ১২ টাকা। অর্থাৎ কুইন্টাল প্রতি চালের দাম বেড়েছে প্রায় এক হাজার টাকার বেশি। সাধারণ মানের স্বর্ণ ও রত্না বা অন্য চালের দামও বেড়েছে কুইন্টাল প্রতি প্রায় ২০০ টাকা। চাল ব্যবসায়ীদের মতে, ধানের উৎপাদন কমার ফলেই চালের দাম বেড়েছে। যেভাবে চালের দাম একলাফে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে, তাতে আম জনতা সমস্যায় পড়ে গিয়েছেন। অনেকেই দামের ঠেলায় পড়ে মিনিকিট চালের জায়গায় রত্না বা ৩৬ চাল কিনে বাড়ি ফিরছেন।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে মিনিকিট চালের ২৬ কেজি প্যাকেটের দাম ছিল ১১৮০ টাকা থেকে ১২২০ টাকার আশপাশে। এখন সেই চালের দাম পৌঁছে গিয়েছে ১৫০০ টাকায়। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে ২৬ কেজি বস্তার চালের দাম বেড়েছে ৩০০ টাকা। স্বর্ণ চালের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০০ থেকে ৯২০ প্যাকেটে (২৬ কেজির বস্তা)। রত্না চালের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৩০-১৪৫০ টাকা (২৬ কেজির বস্তা)।
কেন বাড়ল দাম, কবে কমবে?
বিক্রেতাদের দাবি, আমন ধানের চাষ ও ফলন কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। সরকার সহায়ক মূল্যে ধান কিনছে। তাই কৃষকরা স্থানীয় ফড়েদের মাধ্যমে মিলে খুব বেশি চাল বিক্রি করেনি। ফলে রাইস মিলে ব্যবসায়ীদের চালের জোগান তুলনামূলক ভাবে কমেছে। বোরো ধান উঠতে এখনও মাস দেড়েক বাকি রয়েছে। ফলে বোরো ধান ওঠার আগে পর্যন্ত চালের দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলে দাবি ব্যবসায়ীদের একাংশের। অর্থাৎ বৈশাখের প্রথম সপ্তাহে ধান উঠলেও সেই সময চালের দাম কমবে না। বরং বৈশাখের শেষ দিকে বা পরের মাসের প্রথম দিক থেকে চালের দাম কমতে পারে।