scorecardresearch
 

Sovan Chatterjee-Rishi chatterjee : 'বৈশাখীর আড়ালে অন্য মহিলার সঙ্গেও সম্পর্ক রাখতে পারেন বাবা', বললেন শোভন-পুত্র ঋষি

শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নিজের দেখা দরকার তিনি কী করছেন। তিনি তো হিন্দু ধর্মের মানুষ। একজন বিবাহিত স্ত্রী থাকতে অন্য মহিলার সঙ্গে কীভাবে থাকতে পারেন এভাবে? পুজোর সময় কীভাবে সিঁদুর পরিয়ে দিলেন?

Advertisement
ফাইল ছবি ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • আমি তো এখন বাবার মুখটাও মনে রাখতে পারি না
  • কে বলতে পারে যে, বাবা বৈশাখীর আড়ালেও অন্য কারও সম্পর্ক রাখেননি ?

কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বেনজিরভাবে আক্রমণ করেছিলেন তাঁরই ছেলে ঋষি চট্টোপাধ্য়ায়। ঋষির সেই হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাস খরবেব শিরোনামে চলে আসে। কিন্তু কেন বাবা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি এত ক্ষুব্ধ তিনি ? জানালেন bangla.aajtak.in-কে। 

ঋষি চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমার সঙ্গে আমার বাবার কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ, বাবা চাননি সম্পর্ক থাকুক। বাবা নিজে থেকেই সম্পর্ক রাখতে চাননি। ২০১৭-১৮ সাল নাগাদ কোনও কারণ ছাড়াই বাবা আমাদের ত্য়াগ করে চলে যান। যখন বাবাকে CBI-এ গ্রেফতার করে তখন আমিও বাবার সঙ্গে দেখা করতে গেছিলাম। মনে হয়েছিল, ছেলে হিসেবে আমার বাবার পাশে থাকা দরকার। আমি বরাবর চেয়েছি যে বাবা বিপদে আমাদের সঙ্গে থাকুন, নিজের লোকেদের সঙ্গে আলোচনা করুন। কিন্তু, উনি তা করেননি। বরং বাইরের লোকেদের সঙ্গেই উনি আলোচনা করেন। এটা আমাদের ভালো লাগেনি। আজও যখন প্রকাশ্যে নানা কথা বলেন, আমার মায়ের সম্পর্কে তখনও আমার খারাপ লাগে। 

শোভন চট্টোপাধ্যায় মিডিয়াকে বলে বেড়ায় তাঁর স্ত্রী অন্য জনের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন। কিন্তু পাড়া প্রতিবেশীরা তো জানতেন, শোভন চট্টোপাধ্যায় কী করতেন। তিনি, কত রাতে বাড়ি ঢুকতেন। আর মা রাত্রে জেগে বসে থাকতেন, বাবার অপেক্ষায়। তারপর কোনও কারণ ছাড়া একদিন বেরিয়ে গেলেন। অথচ বাবা এমন ছিলেন না। আমাদের উনি ভালোভাবে বড় হওয়ার কথা বলতেন, আজ উনি নিজেই সেটা মানছেন না। 

আরও পড়ুন

মায়ের সঙ্গে বাবার সম্পর্ক কোনওদিন খারাপ ছিল না। ২০১৭-১৮ সাল নাগাদ বাবার হঠাৎ কী হল জানি না। আমার মনে হয়, উনি কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। তারপর বাড়ি ছেড়ে দেন। তারপর মিডিয়াকে বলেন, উনি আমার মায়ের কারণে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। অথচ উনি একটি বিশাল বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। তারপর যেটা হল, শোভন চট্টোপাধ্যায়কে মিডিয়ার একাংশ হিরো বলে প্রচার করতে শুরু করল। আর মা-কে ভিলেন। অথচ আমাদের কত কথা রাস্তাঘাটে শুনতে হয়। কোনও ক্যাফেতে বসলেও আমাকে লোকজন বলে, ওই দেখ শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে। ওর মা অমুক বাবা তমুক। এই সব শুনতে হয়। প্রথম প্রথম খারাপ লাগত। এখন আর কিছু মনে হয় না। 

Advertisement

শোভন চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, তাঁর তিন সন্তান। তিনি কীভাবে বলেন জানি না। আমি ও আমার বোনকে উনি মানুষ করেছেন। বড় করেছেন। আর হঠাৎ করে তিনি অন্য এক মহিলার সঙ্গে থাকতে শুরু করলেন, আর সেই মহিলার সন্তানকেও নিজের সন্তান বলে স্বীকৃতি দিয়ে দিলেন ? কই মনোজিৎ মণ্ডল তো শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মতো বলেন না! আমার সব থেকে খারাপ লাগে এটা ভেবে যে, একজন বাচ্চা মেয়েকে রাজনীতির শিকার করা হচ্ছে। এটা কেন ? আর শোভন চট্টোপাধ্যায় কি আমার ও আমার বোন সুহানির প্রতি সমানভাবে কর্তব্য পালন করেন? নিজেকে উনি কোনওদিন সেই প্রশ্ন করেছেন? 

আমি তো এখন বাবার মুখটাও মনে রাখতে পারি না। যখন মিডিয়াতে দেখি, তখনই শুধু মনে পড়ে। তবে আমার ভয় হয়। তবে আমিও তো ছেলে। মাঝে মাঝে মনে হয় বাবা ঠিক আছে ? শরীর ঠিক আছে ? এখন বাবা বুড়ো হয়ে গেছে। তিনি নিজে অন্য একজনের সঙ্গে  রয়েছেন। এটা নিয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই। কারণ, এটা ববার সিদ্ধান্ত। তিনি মনে করেছেন অন্য কারও সঙ্গে থাকবেন, থেকেছেন। তবে উনি যেটা খারাপ করছেন সেটা হল, আমার মা রত্না চট্টোপাধ্যায়কে অপমান করছেন। লোকের সামনে খারাপ কথা বলছেন। মায়ের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। 

শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নিজের দেখা দরকার তিনি কী করছেন। তিনি তো হিন্দু ধর্মের মানুষ। একজন বিবাহিত স্ত্রী থাকতে অন্য মহিলার সঙ্গে কীভাবে থাকতে পারেন এভাবে? পুজোর সময় কীভাবে সিঁদুর পরিয়ে দিলেন? বাবা-মায়ের সামাজিকভাবে বিয়ে হয়েছিল। অগ্নিকে সাক্ষী রেখে। একে অপরের সঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্ত বাবা তো মানলেন না সেই সব। এটা তো অধার্মিকের মতোই কাজ। 

আমার বাবা নেতা ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাবাকে ভালোবাসতেন। উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ছেড়ে চলে এসেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মায়ের মতো ছিলেন। বাবাকে ভালোবাসতেন। অথচ বাবা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করলেন। যে মানুষটা তাঁকে এত বিশ্বাস করে মেয়র বানালেন, মন্ত্রী করলেন, সেই সব ছেড়ে দিয়ে চলে এলেন ? তাহলে তিনি কীসের রাজনীতিবিদ? শোভন চট্টোপাধ্যায় না রাজনীতিটা ঠিকমতো করবেন না পরিবার সামলালেন। উনি একটাই কাজ করলেন। সেটা হল প্রেম। 

আর শোভন চট্টোপাধ্যায় আমার মায়ের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু ওঁর নিজের চরিত্রেরই ঠিক নেই। মা কোনওদিন বাবাকে পিছন থেকে  ছুরি মারেননি। আর বাবা এখন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেন। কে বলতে পারে যে, বাবা বৈশাখীর আড়ালেও অন্য কারও সম্পর্ক রাখেননি ? যিনি নিজের স্ত্রীকে ছেড়ে এভাবে অন্য মহিলার সঙ্গে থাকতে পারেন, তাঁর পক্ষে সবই সম্ভব।  বাবার চরিত্রের ঠিক নেই, বৈশাখীর আড়ালেও অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক  তিনি রাখতেই পারেন। আমি এটা নিশ্চিত করে বলছি না। তবে আমার সন্দেহ হয়। 

আর শোভন চট্টোপাধ্যায় হুমকি দিচ্ছেন আমার মা-কে। কোন সাহসে তিনি এসব বলছেন। উনি কি জানেন সাধারণ মানুষ বিষয়টা কীভাবে নেয় ? কোনও সভ্য সমাজ শোভন-বৈশাখীর সম্পর্ককে মেনে নেবে না। 

   
এই বক্তব্য ঋষি চট্টোপাধ্যায়ের। এর দায় কোনওভাবেই bangla.aajtak.in নেবে না। 

Advertisement