শিয়ালদা স্টেশন থেকে উদ্ধার হল ১২১ কেজি গাঁজা। ২৬ জুলাই শনিবার উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস থেকে এই বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া গাঁজার বাজারমূল্য আনুমানিক প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা। মাদক বিরোধী "অপারেশন নারকোস" চালাচ্ছে পূর্ব রেল। তাতেই এই বড় সাফল্য এসেছে। শিয়ালদা ডিভিশনের আরপিএফ বিপুল পরিমাণ অবৈধ মাদক পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ করেছে।
গোপন সূত্রে আরপিএফ-র কাছে খবর আসে যে ডাউন উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসে করে বিপুল টাকা মূল্যের গাঁজা পাচার করা হচ্ছে। গোপন সূত্রে এই খবর পাওয়ার পরেই দ্রুত পদক্ষেপ নেয় আরপিএফ। শিয়ালদা স্টেশনে ট্রেন নম্বর ১৩১৪৮ ডাউন উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস ঢুকতেই তল্লাশি শুরু হয়ে যায়। তল্লাশিতে ৪ জন পুরুষ, ২ জন মহিলা এবং ২ জন কিশোর সহ ৮ জনকে পাকড়াও করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে ১২১ কিলোগ্রাম গাঁজা ভর্তি মোট ৬টি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া গাঁজার বাজার মূল্য আনুমানিক ২৪,২০,০০০ টাকা। পাচারকারীদের দ্রুতজিআরপি-র হাতে তুলে দেওয়া হয়। যেখানে এনডিপিএস আইনের প্রাসঙ্গিক ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কয়েকদিন আগেই ৫৭ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয় রানাঘাট রেল স্টেশন থেকে। ২২ জুলাই মঙ্গলবার নদিয়ার রানাঘাট স্টেশনে গেদে-রানাঘাট লোকাল থেকে পাঁচটি সোনার বিস্কুট-সহ একজনকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটগুলির ওজন ৫৮৩ গ্রাম। বাজেয়াপ্ত করা সোনার আনুমানিক বাজার মূল্য ৫৭,৬৮,৭৮৫ টাকা। ধৃত ব্যক্তিকে বাজেয়াপ্ত করা সোনা সহ রানাঘাটে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে দেওয়া হয়। চোরাচালান রুখতে অপারেশন সতর্ক চালাচ্ছে পূর্ব রেল। আরপিএফ কর্মীরা বিভিন্ন স্টেশন ও ট্রেনে চেকিং করছেন। যাতে চোরাচালান রোধ করা যায় এবং কঠোর নজরদারি বজায় রেখে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
এছাড়াও, চলতি বছরের মার্চ মাসে শিয়ালদা স্টেশনের পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে এক যুবককে ধরা হয়। বনগাঁ লোকাল থেকে নামার পরই ওই যুবককে ঘিরে ফেলে আরপিএফ। তাঁর ব্যাগ তল্লাশি করতেই বেরিয়ে আসে প্রায় ৪০০ গ্রাম সোনা, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৩০ লক্ষ টাকা। বনগাঁ থেকে ট্রেনে করে যুবক শিয়ালদা স্টেশনে নামেন। গোপন সূত্রে আগে থেকেই আরপিএফের কাছে খবর ছিল যে ওই যুবক সোনা পাচার করছেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই শিয়ালদা স্টেশনে নামতেই যুবককে ধরা হয়।