আগামীকাল শুক্রবার, বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুপুরে দুর্গাপুরের নেহরু স্টেডিয়ামে জনসভা। সেখান থেকেই বাংলার জন্য একাধিক বড় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন তিনি। তার আগের দিন, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করলেন।
দুর্গাপুরে শিল্পায়নের সম্ভাবনা নিয়ে শমীক বললেন, 'দুর্গাপুরের প্রাণের স্পন্দন ফেরাবে বিজেপি। দুর্গাপুর থেকে ফের বাংলায় শিল্পায়ন হবে।' তিনি আরও বলেন, কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ-এই স্লোগানকে সামনে রেখেই বিজেপি কাজ করছে। তবে সিপিএমের চূড়ান্ত সমালোচনা করেন তিনি।'
শমীকের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গকে এখন সারা দেশ চেনে ‘মজদুরের রাজ্য’ হিসেবে। '১৮ হাজার টাকা মাইনেতে গ্রাজুয়েটরা চাকরি করছে, নয়তো রাজমিস্ত্রির জোগালি বা চা-জলখাবার দেওয়ার কাজ করছে। শিল্পপতিরা আসতে চান, কিন্তু তৃণমূল সরকার সেই পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি,' অভিযোগ তাঁর। তিনি বলেন, 'রাজ্যের সমস্ত জেলা আদালতে বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করছে তৃণমূলের ছোট ছোট কর্মীরা। সরকার চলছে লটারি ও আবগারি ভিত্তিতে। একবছর অপেক্ষা করুন, শিল্পবান্ধব পরিস্থিতি বিজেপি তৈরি করে দেবে।'
শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্যে ফুটে উঠেছে রাজনৈতিক অভিযোগও। তিনি বলেন, 'আমরা প্রথমে একজন ভারতীয়, পরে একজন বাঙালি। এই শিক্ষা দিয়েছেন বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ। এই নির্বাচন হিন্দু বাঙালিদের অস্তিত্ব রক্ষার শেষ নির্বাচন। উদার ও মুক্তমনা ভারতীয় মুসলমানদের জন্যও শেষ নির্বাচন।'
এছাড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, 'কজন পরিযায়ী শ্রমিক ফিরে এসেছে বাংলায়? মমতা স্বেতপত্র প্রকাশ করুক।'
আগামীকাল নরেন্দ্র মোদীর সভাকে ঘিরে দুর্গাপুরে তুঙ্গে প্রস্তুতি। বিজেপি কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমন্ত্রণপত্র দিচ্ছেন। নেহরু স্টেডিয়ামে চলছে শেষ মুহূর্তের সাজসজ্জা। শমীক ভট্টাচার্যের কথায় স্পষ্ট, দুর্গাপুরের সভা থেকে শিল্পায়ন ও পরিবর্তনের নতুন বার্তা দিতে চাইছে বিজেপি।