শুভেন্দু অধিকারী ও শমীক ভট্টাচার্যউপলক্ষ, আদি নেতাদের ফেরানোর লক্ষ্যে সভা। সেখানেই 'দলবদলু'দের তিন গোত্রে ফেললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই গোত্রে নিজেকেও রাখলেন। তারপরই বলতে উঠে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বললেন,'এগুলো সব অতীত। ভবিষ্যতের কোনও সভায় এটা বলবেন না'।
ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিন উপলক্ষে সভায় আদি নেতাদের ডেকেছিল বঙ্গ বিজেপি। ওই সভাতেই বলতে উঠে দলবদল নিয়ে ব্যাখ্যা দেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন,'অন্য দল থেকে অনেকে এসেছেন। এই আসার ক্ষেত্রে তিনটি গোত্রে ফেলা যায়। একটা গোত্র, নির্বাচনের সময় আসা। ভোটে জেতা। জিতে পালানো। অথবা হেরে ফিরে যাওয়া। আর একটা হল, অন্য দল সব কেড়ে নেয়। রাজনীতি করার সুযোগ থাকে না। তখন আশ্রয় চান'।
বিরোধী দলনেতা যোগ করেন,'আর একটা গোত্র, সব পদ ছেড়ে দল বদল করে। কোনও কিছু না পাওয়ার উদ্দেশ্য না নিয়ে দল পরিবর্তন করে। আমি এই গোষ্ঠীতে পড়ি'। মনে করিয়ে দেন,'৫টা দফতর, ৩টে বড় সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে বিজেপিতে এসেছি। অমিত শাহ, তৎকালীন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আমাকে আমন্ত্রণ করেছিলেন'।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দল চাইলে লড়বেন না, এমনটাও বলে দেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। তাঁর কথায়,'শুভেন্দু অধিকারী পালানোর লোক নয়। আমাকে দল বললে, লড়ব না। শুধু প্রচার করতে বললেও রাজি আছি'।
শুভেন্দুর পরই বলতে ওঠেন শমীক ভট্টাচার্য। মঞ্চে বসে শুভেন্দু। তাঁর উদ্দেশে বিজেপির রাজ্য সভাপতির মন্তব্য,'রাজ্যের বিরোধী দলনেতা কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ পর্যন্ত তৃণমূলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছেন। আমার আগে তাঁর বক্তৃতায় বলেছেন, দফতর ছেড়ে এসেছেন। এগুলো সবই অতীত। আমি অনুজ প্রতীমের কাছে আবেদন করব, ভবিষ্যতের কোনও সভায় এটা বলবেন না। কারণ তিনি বিজেপিতে সম্পৃক্ত হয়ে গিয়েছেন'।