বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আইসিইউ-তে রয়েছেন। তাঁর বমি বমি ভাব আছে। জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার রাতেই সুকান্তকে হাসপাতালে দেখতে যান শুভেন্দু। তাঁকে দেখার পরই এই কথা জানান শুভেন্দু।
বুধবার সন্দেশখালি যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল সুকান্ত মজুমদারের। আগের রাতে টাকির এক হোটেলে ছিলেন তিনি। কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়েই তাঁর পথ আটকে দেয় পুলিশ। তা নিয়ে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় রাজ্য বিজেপির কর্মীদের। সুকান্ত মজুমদার পুলিশের গাড়ির উপরে উঠে দাঁড়ান। অভিযোগ, সেই সময় রাজ্য পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন সুকান্ত। মাটিতে শুয়ে পড়েন তিনি। সেখান থেকে তাঁকে বসিরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে এই খবর পেয়েই দিল্লি সফর কাটছাঁট করে রাজ্যে ফিরে আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি রাতেই সুকান্তকে দেখতে যান। দেখা করে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বলেন, 'বর্তমানে সুকান্ত ভট্টাচার্য আইসিইউ-তে রয়েছেন। বুকে,পাঁজরে,কোমরে ব্যথা আছে। আমাদের ইয়ং লিডার। জলদি সুস্থ হবেন। ওনার ১০-১২ ঘণ্টার বিশ্রাম দরকার। হাসপাতালের উপর ভরসা আছে। সব ঠিক হয়ে যাবে।'
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সন্দেশখালির ঘটনায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি সেখানকার পরিস্থিতি কেমন, কী কী ঘটছে সে নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তেরও কথাও বিবেচনা করে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
উল্লেখ্য, উত্তেজনার পারদ চড়ছে সন্দেশখালিতে। স্থানীয় মহিলাদের অভিযোগ, তাদের উপর যৌন নির্যাতন চালায় স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। এই অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই সরগরম বাংলা। দফায় দফায় আন্দোলন করছে বিজেপি-সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তারইমধ্যে বিস্ফোরক অভিযোগ সন্দেশখালির এক মহিলার। তাঁদের উপর কেমন অত্যাচার হয়, সেকথা জানালেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, তাঁদের দিনের পর দিন যৌন হেনস্থা করা হয়েছে। অথচ তাঁদের কাছেই এখন মেডিকেল রিপোর্ট চাওয়া হচ্ছে।