উত্তেজনার পারদ চড়ছে সন্দেশখালিতে। স্থানীয় মহিলাদের অভিযোগ, তাদের উপর যৌন নির্যাতন চালায় স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। এই অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই সরগরম বাংলা। দফায় দফায় আন্দোলন করছে বিজেপি-সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তারইমধ্যে বিস্ফোরক অভিযোগ সন্দেশখালির এক মহিলার। তাঁদের উপর কেমন অত্যাচার হয়, সেকথা জানালেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, তাঁদের দিনের পর দিন যৌন হেনস্থা করা হয়েছে। অথচ তাঁদের কাছেই এখন মেডিকেল রিপোর্ট চাওয়া হচ্ছে।
সন্দেশখালির একাধিক মহিলা এক আগে সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁদের উপর ঘটে যাওয়া অত্যাচারের অভিযোগ করেছিলেন। সেরকমই এক মহিলা বলেন, 'ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত করার জন্য আমাদের কাছে এখন মেডিকেল রিপোর্ট চাওয়া হচ্ছে। গ্রামের মহিলারা কীভাবে প্রকাশ্যে এসে জানাবেন যে তাঁদের ধর্ষণ হয়েছে? এটা সম্ভব ? আমাকে ধর্ষণ করেনি কেউ, তবে অন্য মহিলাদের সঙ্গে এই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। '
পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছেন সন্দেশখালির মহিলাদের একাংশ। একজন বলেন, 'আমরা কি আমাদের সম্মান ফিরে পাব?...রাজ্য পুলিশ কখনই শাহজাহান, শিবু, উত্তম, রঞ্জু, সঞ্জু এবং অন্যদের আটক করবে না।'
aajtak-এর সঙ্গে কথা বলার সময় এক মহিলা জানান, 'নির্বাচনের পর থেকে আর সাংসদ নুসরত জাহানকে দেখা যায়নি এলাকায়। কেউ আমাদের সাহায্য করছে না।' স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য শেখ শাহজাহান প্রধান অপরাধী। এই অভিযোগ করে মহিলারা বলেন, 'শাহাজাহানের মতো লোকজন আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। এখানকার মহিলারা নিরাপদে থাকতে পারেন না। তাঁদের আতঙ্কে কাটে। আমরা বাইরে বেরোতে ভয় পাই। আমাদের নিরাপত্তা চাই।' সন্দেশখালীর স্থানীয় মহিলাদের অভিযোগ, 'অভিযুক্তরা মহিলাদের পার্টি অফিসে নিয়ে যেত এবং সকালে পার্টি অফিস থেকে ছাড়ত।'
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি কাণ্ডের তদন্তে ২ দিন আগেই ১০ সদস্যের একটি দল গঠন করেছে রাজ্য সরকার। সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে সরব হয়েছে কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেছিলেন, 'সন্দেশখালির হিন্দু মহিলারা সাহায্য চাইছেন। কোথায় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান? মমতা এবং তাঁর সরকার কখনও সেই গুন্ডাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি।'
এদিকে বুধবার সন্দেশখালি যেতে চান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে টাকিতে তিনি যে হোটেলে ছিলেন সেখানেই তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। ধস্তাধস্তিতে তিনি আহন হন বলে অভিযোগ। পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। অসুস্থ সুকান্ত মজুমদারকে প্রথমে বসিরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁকে সেখান থেকে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।