সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করল সিবিআই। দুর্নীতির মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এতদিন পর্যন্ত সন্দূীপ ঘোষকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হত। তিনি রাতে বাড়ি ফিরে যেতেন। তবে আজ তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে আনা হয় নিজাম প্যালেসে।
তৎকালীন ডেপুটি সুপার আখতার আলি সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তিনি হাইকোর্টে আবেদনও করেন। সেই মামলা দেওয়া হয় সিবিআই-এর হাতে। তারপর সেই দুর্নীতি নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ২৫ অগস্ট সকালে সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে হানা দেয় সিবিআইয়ের একটি দল। সেদিন বেশ কয়েক ঘণ্টা বাড়িতে তল্লাশি করা হয়। হাসপাতালে আর্থিক অনিয়মের মামলার তদন্তভারও সিবিআইয়ের হাতে দিয়েছে আদালত। আদালতের অনুমতিতেই সন্দীপ ঘোষের পরিলগ্রাফ টেস্টও করানো হয়।
এদিন সন্দীপ ঘোষকে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে নিজাম প্যালেসের সিবিআই অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন ইউনিট সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করছে। এই ইউনিটটি নিজাম প্যালেসের অফিসে অবস্থিত। দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৪২০ ধারার এবং ৭ ধারার অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। তার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় সন্দীপ ঘোষকে।
এদিকে সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির পর আনন্দ উৎসব শুরু করেন আন্দোলনকারীরা জুনিয়ার ডাক্তাররা। তাঁদের তরফে বলা হয়, এটা তাঁদের নৈতিক জয়। আর একজন আন্দোলনকারী বলেন, স্বাস্থ্য ভবনের আরও যারা আভিযুক্ত আছে তাদেরও গ্রেফতার করতে হবে। আর এক আন্দোলনকারী জানান, রাজ্য পুলিশ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করতে পারেনি। কিন্তু সিবিআই গ্রেফতার করে দেখাল। তবে আন্দোলনকারীরা জানান, তাঁরা এখনও বিচার পাননি। সেজন্য আন্দোলন চলতে থাকবে। তবে সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হওয়ায় তাঁরা খুশি।
আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর পর থেকে সন্দীপ ঘোষকে অপসারণের ও তাঁকে গ্রেফতারের দাবি তুলতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। ১২ অগাস্ট তিনি পদত্যাগ করেন ঠিকই। তবে তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে অন্য এক সরকারি হাসপাতালের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর কলকাতা হাইকোর্ট সন্দীপকে ছুটিতে যেতে বলে। পরে আন্দোলনের জেরে সন্দীপকে সরিয়ে দেওয়া হয় সেই পদ থেকেও।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ অগাস্ট থেকে টানা ১৫ দিন সিবিআই জেরার মুখোমুখি হতে হয়েছিল সন্দীপকে। শনি এবং রবিবার তাঁকে জেরা করা হয়নি। সোমবার ফের হাজিরা দিতে তিনি আসেন সিজিও কমপ্লেক্সে।