Sanjay Roy: জেলে সঞ্জয়কে কী কী কাজ দেওয়া হতে পারে? কত পারিশ্রমিক?

শিয়ালদা আদালতের সাজা অনুযায়ী, বাকি জীবনটা বন্দিই থাকতে হবে সঞ্জয় রায়কে। শুধু তাই নয়, জেলে বাকি সব 'অদক্ষ' বন্দির মতো হাড়ভাঙা খাটুনির কোনও কাজেও নিযুক্ত করা হবে।

Advertisement
জেলে সঞ্জয়কে কী কী কাজ দেওয়া হতে পারে? কত পারিশ্রমিক?জেলে যা-যা করতে হতে পারে সঞ্জয় রায়কে।
হাইলাইটস
  • সোমবার আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে সঞ্জয় রায়কে।
  • বাকি জীবনটা বন্দিই থাকতে হবে সঞ্জয় রায়কে।
  • তাকে 'অদক্ষ শ্রমিক' হিসেবে ধরা হবে।

Sanjay Roy Life Imprisonment: সোমবার আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে আরজি কর ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়কে। শিয়ালদা আদালতের সাজা অনুযায়ী, বাকি জীবনটা বন্দিই থাকতে হবে সঞ্জয় রায়কে। শুধু তাই নয়, জেলে বাকি সব 'অদক্ষ' বন্দির মতো হাড়ভাঙা খাটুনির কোনও কাজেও নিযুক্ত করা হবে। দ্য টেলিগ্রাফ (telegraphindia) সংবাদপত্রের রিপোর্টে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে।

এখন জেলকে সংশোধনাগার বলা হয়। এখানে থাকা মানেই সারাদিন চার দেওয়ালে বন্দি নয়। কয়েদিদের শিক্ষাগত বা কারিগরি যোগ্যতার ভিত্তিতে কোনও কাজে নিয়োগ করা হয়। সংশোধনাগারের ভিতরে থেকেই তাদের কাজ করতে হয়। তার বদলে মেলে সামান্য পারিশ্রমিকও।  

কেমন কাজ করতে হতে পারে সঞ্জয় রায়কে?
দ্য টেলিগ্রাফ সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সঞ্জয় রায় দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। ফলে তাকে 'অদক্ষ শ্রমিক' হিসেবে ধরা হবে। সেক্ষেত্রে তাকে বাগান পরিষ্কার করা, ঝাড়ুদার, সবজির বস্তা বয়ে নিয়ে যাওয়া কিংবা টয়লেট পরিষ্কার করার কাজে লাগানো হতে পারে। জেল কর্তৃপক্ষ তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা ও আগ্রহের ভিত্তিতে কাজের দায়িত্ব দেবে। যেমন কেউ যদি রান্নায় পারদর্শী হয়, তাকে রান্নাঘরের কাজে লাগানো হয়। জেলের আধিকারিকদের তত্ত্বাবধানে রান্নাঘরে সমস্ত বন্দিদের জন্য প্রচুর রান্না করতে হয় এমন বন্দিদের।
UP: बलिया जिला जेल में कैदियों की मारपीट का वीडियो वायरल, 4 सस्पेंड -  ballia district jail video of prisoners beating goes viral 4 suspended  including deputy jailor - AajTak

শিক্ষিতদের কাজ আলাদা 

শিক্ষিত বন্দিদের সাধারণত কায়িক পরিশ্রমের কাজে লাগানো হয় না। তাদের নথিপত্র লেখা, কম্পিউটারে ডেটা এন্ট্রি ইত্যাদি কাজে জেল আধিকারিকদের সাহায্যের জন্য নিযুক্ত করা হয়। এদের দক্ষ শ্রমিক বলা হয়।

জেলের নিয়ম অনুযায়ী:

  • অদক্ষ শ্রমিকের দৈনিক মজুরি: ₹১০০
  • অর্ধ-দক্ষ শ্রমিকের মজুরি: ₹১২০
  • দক্ষ শ্রমিকের মজুরি: ₹১৩৫

জেলে বন্দিরা সরাসরি টাকা হাতে পান না। তাঁদের উপার্জিত অর্থ সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হয়।

  • উপার্জনের অর্ধেক অংশ (সাদা টাকা) বন্দি ব্যবহার করতে পারেন। এই টাকায় জেলের ক্যান্টিনের খরচ বা পুলিশি নজরদারিতে পরিবারকে ফোন করতে পারেন কয়েদিরা।
  • বাকি অর্ধেক লাল টাকা হিসেবে জমা থাকে, যা শুধুমাত্র জরুরি পারিবারিক প্রয়োজনে ব্যবহৃত হতে পারে। জরুরি প্রয়োজনে পরিবারের জন্য টাকা ব্যবহার করতে হলে বন্দিকে একটি আবেদন করতে হয়। পুলিশ যাচাইয়ের পর তাতে সায় দেয়।

সঞ্জয় বর্তমানে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সেলে আছে। শুধুমাত্র কাজের সময় সেল থেকে বাইরে বের হওয়ার সুযোগ পাবে। সোমবার সাজা ঘোষণার পর সঞ্জয় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে বলে সূত্রের খবর। 

সঞ্জয় একসময় প্রশিক্ষিত বক্সার ছিল। কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করত। বর্তমানে জেলে প্রচন্ড কায়িক পরিশ্রমের কাজ করা ছাড়া তার আর কোনও আয়ের উপায় নেই। জেলে আসার সময় তাঁর কাছে মাত্র ₹১,৪০০ টাকা ছিল। সেটা আপাতত তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা আছে।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement