প্রবল শৈত্যপ্রবাহের জের। পরপর ৫ দিন স্কুল রাজধানী দিল্লিতে। সেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন প্রচণ্ড শীতের কারণে নার্সারি থেকে ক্লাস ফাইভের বাচ্চাদের স্কুলে আসা বারণ করা হয়েছে। ১২ তারিখ পর্যন্ত বাচ্চাদের স্কুলে আসতে বারণ করা হয়েছে।
শনিবার, দিল্লি সরকারের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। সেখানে জানানো হয়, শীতকালীন ছুটি ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু কয়েক ঘন্টা পরে, শিক্ষা অধিদপ্তর আদেশটি প্রত্যাহার করে জানায়, 'নির্দেশিকা ভুলবশত জারি করা হয়েছিল।' কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঠান্ডা আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে স্কুলগুলি আবার কবে খোলা হবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে জানানো হবে।
গত কয়েকদিন ধরে, দিল্লি এবং এর প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে ঠান্ডা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। কুয়াশায় ঢেকে থাকছে শহর। ফলে সূর্যালোক পৌঁছতে পারছে না। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, 'পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি এবং রাজস্থানে ঠান্ডা আরও বাড়তে পারে। পরিস্থিতি বুঝে স্কুল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
এদিকে পশ্চিমবঙ্গে আরও বাড়ল তাপমাত্রা। সকালে হালকা মাঝারি কুয়াশা ও ধোঁয়াশা। পরে আংশিক মেঘলা আকাশ। তবে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আগামী দুই দিনে আরও একটু তাপমাত্রা বাড়বে। কিন্তু তারপর ক্রমাগত তাপমাত্রা কমতে থাকবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, মঙ্গলবার আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। উত্তুরে হাওয়ার দাপট বাড়বে। ফলে সেদিন থেকে তাপমাত্রা কমতে পারে।
রবিবার কলকাতায় সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। আলিপুর আবহাওা দফতর জানিয়েছে, শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে তার ফলে শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ বীরভূমে দু এক জায়গায় খুব হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে। উত্তরবঙ্গের মালদাতে খুব হালকা বৃষ্টি ও কুয়াশার সম্ভাবনা থাকছে!
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে তুষারপাতের ও খুব হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে দার্জিলিং। দক্ষিণবঙ্গে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা থাকছে কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ঠান্ডা পড়বে মঙ্গলবার থেকে।