লোকাল ট্রেন নিয়ে বড় খবর। দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল ডাউন বনগাঁ-শিয়ালদা লোকাল ট্রেন। লেভেল ক্রসিংয়ের ভাঙা গেট ট্রেনের ওভারহেডের তারে গিয়ে লাগে। তার ছিঁড়ে যায়। তাতেই বিপত্তি। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। তার জেরে বনগাঁ-শিয়ালদা শাখার আপ এবং ডাউন দুই লাইনেই ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, হাবড়া এলাকায় ৩০ নম্বর রেল গেটটি গাড়ির ধাক্কায় ভেঙে গিয়েছিল। সকালেই গেটটি ভাঙে। তারপরও আপৎকালীন সিগন্যাল দিয়ে ট্রেন চলাচল করছিল। এদিকে সিগন্যাল পেয়ে বনগাঁ থেকে আসা ট্রেনটি হাবড়ার দিকে এগিয়ে যায়। লেভেল ক্রসিংয়ের ভাঙা গেটটি ওভার হেডের তারে পড়ে। ফলে সেখান থেকে আগুনের ফুলকি বের হতে থাকে। তা দেখে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই দৃশ্য দেখে ট্রেন থেকে নামতে থাকেন যাত্রীরা। যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। এরইমধ্যে এলাকার বাসিন্দারা সেখানে আসেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন হাবড়া পুরসভার চেয়ারম্যান নারায়ণচন্দ্র সাহা সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। তাঁরা রেল যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গোবরডাঙা স্টেশনে দাঁড়়িয়ে পড়েছিল খুলনা-কলকাতা বন্ধন এক্সপ্রেসও। তবে প্রায় তিন ঘণ্টা পরে ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। যদিও রবিবার থাকায় ট্রেনে যাত্রী কম ছিল। কিন্তু, যাত্রীরা এই ঘটনার জন্য রেলের গাফিলতিকেই দায়ি করছেন।
এদিকে ট্রেনে যাত্রী কম থাকলেও যেহেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল কিছু সময়ের জন্য সেহেতু যাত্রীদের দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়। এই দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেই খবর।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এনজেপি থেকে শিয়ালদাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। একই লাইনে উঠে পড়ে আর একটি ট্রেন। পিছন থেকে মালগাড়ির ধাক্কায় বেলাইন হয়ে উল্টে যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দু'টি কামরা। মৃত্যু হয় একাধিক জনের। ৩০ জনেরও বেশি আহত হন।