শুক্রবার রাতে পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন হাওড়ার এক যুবতী। মৃতের নাম সুনন্দা দাস। কলকাতার ধর্মতলা এলাকার এক হোটেলের কর্মী ছিলেন সুনন্দা। হাওড়ার নেতাজি সুভাষ রোডের বাসিন্দা তিনি। জানা গেছে, রাত ১১টা নাগাদ স্কুটি চালিয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সুনন্দা। ফ্লাইওভারে ওঠার মুখে পিছন থেকে একটি লরি এসে স্কুটিতে ধাক্কা মারে। ওই যুবতীর শরীরের একাংশ গাড়ির তলায় পিষে যায় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাঁকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ লরিটিকে আটক করেছে। চালক পলাতক।
পুলিশ সূত্রে খবর, হোটেল থেকে স্কুটি চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সুনন্দা তাঁর এক সহকর্মীকে আলিপুরে নামিয়েছিলেন। তার পর খিদিরপুর হয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে যাচ্ছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালেই একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তোলপাড় হয়েছে বেহালা। চৌরাস্তায় লরির ধাক্কায় প্রাণ হারায় বড়িশা হাই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া সৌরনীল সরকার। সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ বাবার হাত ধরে স্কুলের দিকে রওনা দিয়েছিল সে। মাটিবোঝাই একটি লরি বেপরোয়া গতিতে ছুটে এসে সজোরে ধাক্কা মারে দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়াকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। গুরুতর আহত হন বাবা। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর স্থানান্তরিত করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।
ঘটনায় ক্ষোভপ্রকাশ করে রাস্তায় শুরু হয় বিক্ষোভ। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় কয়েকটি গাড়ি-বাইকে। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করেন সৌরনীলের পরিবারকে। পরিবারকে সমস্ত রকম সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।