সেকেন্ড ব্রিজ বন্ধ, রইল অল্টারনেট রুট।ফের বন্ধ থাকবে বিদ্যাসাগর সেতু। রবিবার ভোর ৪টে থেকে রাত সাড়ে ৯টা অর্থাৎ মোট ১৬ ঘণ্টার জন্য এই সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করা হবে। এর ফলে হাওড়া থেকে কলকাতা আসা বা কলকাতা থেকে হাওড়া যাওয়ার জন্য অন্য রুট ধরতে হবে।
জানা গিয়েছে, রবিবার ভোর ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিদ্যাসাগর সেতু বা দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সুরক্ষার স্বার্থে সংস্কারের কাজের জন্যই দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে যানবাহন চলাচল ১৬ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হচ্ছে।
কোন কোন বিকল্প রুটে যান চলাচল?
কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ১৬ ঘণ্টা বিভিন্ন রুটের যানবাহনগুলি হাওড়া সেতু দিয়ে যাতায়াত করবে।
> খিদিরপুরের দিক থেকে সিজিআর রোড ধরে যেসব যানবাহনের দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ওঠার কথা, সেগুলিকে হেস্টিংস ক্রসিং থেকে বাঁদিকে ঘুরিয়ে সেন্ট জর্জেস গেট রোডে নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর স্ট্রান্ড রোড হয়ে সেই গাড়িগুলি হাওড়া ব্রিজে উঠবে।
> এজেসি বোস রোড ধরে যে গাড়িগুলি দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ওঠে, সেগুলি হেস্টিংস ক্রসিংয়ের দিকে ঘুরে যাবে গ্রেড রোড থেকে। তারপর সেন্ট জর্জেস রোড, স্ট্র্যান্ড রোড হয়ে হাওড়া ব্রিজে উঠবে গাড়িগুলি। কিংবা হেস্টিংস ক্রসিং থেকে ডানদিকে বাঁক নিয়ে কেপি রোডের দিকেও যেতে পারে।
> যে গাড়িগুলি কলকাতায় আসার জন্য দ্বিতীয় হুগলি সেতু ব্যবহার করে, সেই যানবাহনগুলিকে হাওড়া ব্রিজ কিংবা নিবেদিতা সেতু ব্যবহারের আবেদন করা হয়েছে।
> হাওড়া থেকে কলকাতা আসার জন্য কোনা এক্সপ্রেসওয়ে, সলপ, হাওড়া-আমতা রোড, আন্দুল রোড ও আলমপুর রোড হয়ে যেতে হবে।
> কোলাঘাট, খড়গপুরের দিকে যেতে গেলেও হাওড়া-আমতা রোড দিয়ে যেতে হবে।
> দ্বিতীয় হুগলি সেতু ও কোনা এক্সপ্রেসওয়ের পরিবর্তে ব্যবহার করা যাবে জি টি রোড।
এই প্রসঙ্গে হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি ট্রাফিক সুজাতা কুমারী বীণাপানি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, 'সেতুতে কাজ শুরু হবে ভোর সাড়ে ৪টে-৫টা থেকে। কিন্তু কাজের জন্য একটু আগে থেকেই সেতুতে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। আবার কাজ শেষ হওয়ার পরও সেতুকে সচল করতে কিছুটা সময় নেওয়া হবে। তাই অতিরিক্ত সময় নিয়েই ভোর ৪টে থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে যান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'
প্রসঙ্গত, মেরামতি ও সংস্কারের জন্য মেরামতের কাজের জন্য এর আগে বেশ কয়েকটি রবিবার একই ভাবে বিদ্যাসাগর সেতু বন্ধ রাখা হয়েছিল।