Shamik Bhattacharya: মমতার 'মহাত্মাজি' স্কিম, শমীকের কটাক্ষ, 'বাংলায় গান্ধীর নামেই সবচেয়ে বেশি লুট'

মুখ্যমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্যের ‘কর্মশ্রী’ প্রকল্পের নাম বদলে মহাত্মা গান্ধীর নামে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর সরকার। বিজেপিকে কটাক্ষ করে মমতার মন্তব্য, 'আপনারা যদি গান্ধীজিকে সম্মান না দেন, আমরা দেব। সম্মান দিতে আমরা জানি।'

Advertisement
মমতার 'মহাত্মাজি' স্কিম, শমীকের কটাক্ষ, 'বাংলায় গান্ধীর নামেই সবচেয়ে বেশি লুট'খগেন-শঙ্করদের উপর হামলা নিয়ে এনআইএ (NIA) তদন্ত দাবি শমীক ভট্টাচার্যের
হাইলাইটস
  • ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে সংসদ থেকে রাজ্য রাজনীতি, সর্বত্রই শাসক ও বিরোধীদের তরজায় উত্তাল পরিস্থিতি।
  • বৃহস্পতিবার কলকাতার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত শিল্প ও বাণিজ্য সম্মেলনেও এই ইস্যুতে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে সংসদ থেকে রাজ্য রাজনীতি, সর্বত্রই শাসক ও বিরোধীদের তরজায় উত্তাল পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার কলকাতার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত শিল্প ও বাণিজ্য সম্মেলনেও এই ইস্যুতে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেন, 'মনরেগা থেকেই গান্ধীর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। লজ্জার কথা! আমরা জাতির জনককে ভুলে যাচ্ছি।'

মুখ্যমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্যের ‘কর্মশ্রী’ প্রকল্পের নাম বদলে মহাত্মা গান্ধীর নামে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর সরকার। বিজেপিকে কটাক্ষ করে মমতার মন্তব্য, 'আপনারা যদি গান্ধীজিকে সম্মান না দেন, আমরা দেব। সম্মান দিতে আমরা জানি।'

মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পাল্টা তীব্র আক্রমণ শানান রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, 'গান্ধীজির নামেই তো বাংলায় সবচেয়ে বেশি লুট হয়েছে। গান্ধীর নামের প্রকল্পেই দুর্নীতি হয়েছে সর্বাধিক। গান্ধীজিকে প্রকৃত সম্মান যদি কেউ দিয়ে থাকে, তা বিজেপি দিয়েছে। কংগ্রেস গান্ধীজিকে গ্রহণ করেছে, কিন্তু তাঁর আদর্শ অনুসরণ করেনি।'

এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই প্রকল্প থেকে গান্ধীর নাম সরানোর প্রতিবাদে সংসদ চত্বরে মিছিল করেন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’-র সাংসদেরা। লোকসভার অধিবেশন শুরু হতেই গান্ধীর ছবি হাতে নিয়ে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিরোধীরা। বিলের কপিও ছিঁড়ে ফেলা হয়।

বিল নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা, ডিএমকে সাংসদ টি আর বালু এবং সমাজবাদী পার্টির ধর্মেন্দ্র যাদব। তাঁদের দাবি ছিল, এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য বিলটি সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হোক। তবে বিরোধীদের প্রবল স্লোগান ও প্রতিবাদের মধ্যেই শেষ পর্যন্ত ধ্বনিভোটে বিলটি পাশ করানো হয়।
 

 

POST A COMMENT
Advertisement