scorecardresearch
 

Kabir Suman: 'খুব মনে পড়ছে আপনাকে...' বুদ্ধদেবের মৃত্যুতে হঠাত্‍ ধনঞ্জয়ের ফাঁসি স্মরণ সুমনের

Dhananjoy Chatterjee: হেতাল পারেখকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যের ফাঁসি হয়েছিল আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ২০০৪ সালের ১৪ অগাস্ট। একুশ শতকে ভারতের প্রথম ফাঁসি। ধনঞ্জয়কে ফাঁসিকাঠে যিনি ঝুলিয়েছিলেন, তাঁর নাম ফাঁসুড়ে নাটা মল্লিক।

Advertisement
কবীর সুমন ও ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় কবীর সুমন ও ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়
হাইলাইটস
  • ২০০৪ সালের সেই ফাঁসির ঘটনা স্মরণ সুমনের
  • হেতাল পারেখকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ
  • ধনঞ্জয়ের ফাঁসি ঘিরে নানা বিতর্ক

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharjee) প্রয়াণে হঠাত্‍ ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়কে (Dhananjoy Chatterjee) স্মরণ করলেন সঙ্গীতশিল্পী কবীর সুমন। নাম না-করে ধনঞ্জয়ের ফাঁসির জন্য বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে কাঠগড়ায় তুললেন সুমন। তাঁর বক্তব্য, ধনঞ্জয়কে ফাঁসিতে ঝোলানোর জন্য জনমত গড়তে রাস্তায় নেমেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। 

২০০৪ সালের সেই ফাঁসির ঘটনা স্মরণ সুমনের

হেতাল পারেখকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যের ফাঁসি হয়েছিল আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ২০০৪ সালের ১৪ অগাস্ট। একুশ শতকে ভারতের প্রথম ফাঁসি। ধনঞ্জয়কে ফাঁসিকাঠে যিনি ঝুলিয়েছিলেন, তাঁর নাম ফাঁসুড়ে নাটা মল্লিক। ২০০৪ সালের সেই ঘটনা স্মরণ করে কবীর সুমন ফেসবুকে লিখলেন, 'ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়, আপনাকে ভুলিনি ভুলব না। নিতান্ত circumstancial evidence এর ভিত্তিতে আপনার ফাঁসি হয়েছিল। সে সময়ের রাজ্য সরকার প্রধানের স্ত্রী ফাঁসুড়ে নাটা মল্লিককে নিয়ে পথসভা করেছিলেন - আপনাকে ফাঁসি দেওয়ার পক্ষে জনমত জাগিয়ে তুলতে। আমরা কেউ আপনার ফাঁসি আটকাতে পারিনি, ধনঞ্জয়। আজ খুব মনে পড়ছে আপনাকে। সত্যি বলতে, আমিও তো ৭৫ পেরোনো বুড়ো। খেয়াঘাটে অপেক্ষায়।'

আরও পড়ুন

হেতাল পারেখকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ

২০০৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। রাজ্য সরকারের প্রধানের স্ত্রী বলতে মীরা ভট্টাচার্যকেই নাম না-করে নিশানা করেছেন সুমন। ১৯৯০ সালে কলকাতার ভবানীপুরে ১৪ বছরের কিশোরী হেতাল পারেখকে বহুতল বাড়িতে একলা পেয়ে খুন ও ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে সে বহুতলেরই নিরাপত্তারক্ষী বাঁকুড়া জেলার ছাতনার কুলুডিহির বাসিন্দা ধনঞ্জয়ের বিরুদ্ধে। ২০০৪ সালের ১৪ অগাস্ট ফাঁসি হয় তাঁর। বস্তুত, ফাঁসির আগে ধনঞ্জয়ের প্রায় ১৪ বছর জেল খাটা হয়ে গিয়েছিল। 

ধনঞ্জয়ের ফাঁসি ঘিরে নানা বিতর্ক

ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের ফাঁসি ঘিরে নানা বিতর্ক রয়েছে। ধনঞ্জয়ের পরিবার ও রাজ্যের অনেকের অভিযোগ ছিল, ধনঞ্জয় গরিব ছিলেন, টাকা পয়সার অভাবেই তিনি ফাঁসি রুখতে পারেননি। ধনঞ্জয়ের পরিবার একাধিক বার অভিযোগ করেছে, ধনঞ্জয়ের আইনজীবীকে টাকাপয়সা দিয়ে কিনে নেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

Advertisement