SIR-এর কাজের চাপে ভেঙে পড়লেন BLO, কাঁদতে কাঁদতে বললেন, 'জীবন শেষ করে দিতে ইচ্ছে করছে'

স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR) প্রক্রিয়ার কাজের চাপ ঘিরে একের পর এক অভিযোগের মাঝে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উঠে এল আরও ভয়াবহ দৃশ্য। হুগলি জেলার বুথ লেভেল অফিসার (BLO) সুমিতা মুখোপাধ্যায় কাজের চাপে, অসহায়তা থেকে এবং অনবরত সার্ভার ব্যর্থতায় কান্নায় ভেঙে পড়েন।

Advertisement
SIR-এর কাজের চাপে ভেঙে পড়লেন BLO, কাঁদতে কাঁদতে বললেন, 'জীবন শেষ করে দিতে ইচ্ছে করছে'
হাইলাইটস
  • স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR) প্রক্রিয়ার কাজের চাপ ঘিরে একের পর এক অভিযোগের মাঝে উঠে এল আরও ভয়াবহ দৃশ্য।
  • হুগলির বুথ লেভেল অফিসার (BLO) সুমিতা মুখোপাধ্যায় কাজের চাপে, অসহায়তা থেকে এবং অনবরত সার্ভার ব্যর্থতায় কান্নায় ভেঙে পড়েন।

স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR) প্রক্রিয়ার কাজের চাপ ঘিরে একের পর এক অভিযোগের মাঝে উঠে এল আরও ভয়াবহ দৃশ্য। হুগলির বুথ লেভেল অফিসার (BLO) সুমিতা মুখোপাধ্যায় কাজের চাপে, অসহায়তা থেকে এবং অনবরত সার্ভার ব্যর্থতায় কান্নায় ভেঙে পড়েন। এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'এমন অবস্থা হয়েছিল যে নিজের জীবনটাই শেষ করে দিই।'

অভিযোগ অনুযায়ী, শরীর খারাপ থাকা সত্ত্বেও সুমিতাকে ব্লক পঞ্চায়েত অফিসে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখা হয়। সকাল ১১:৩০ থেকে বিকেল ৪:৩০ পর্যন্ত তিনি কাজ শেষ করতে চেষ্টা করলেও বারবার সার্ভার ভেঙে পড়ায় ডেটা আপলোড হয়নি। তাঁর কথায়, 'আমি ইতিমধ্যেই ৩০০ জনের নাম বাড়ি থেকে আপডেট করেছি। তবুও আমাকে অফিসে ডাকা হল। সার্ভার ক্র্যাশ করছিল। কেউ সাহায্য করেনি। খেতে পাইনি। মাথা ঘুরছিল… এমন অবস্থা হয়েছিল যেন জীবনটাই শেষ করে দিই।' শেষ পর্যন্ত তাঁর সহকর্মী এক BLO-কে তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দিতে হয়।

সুমিতার স্বামী বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, 'বাড়ি ফিরে ও ভেঙে পড়ে কাঁদছিল। সার্ভার ডাউন থাকা সত্ত্বেও দোষ চাপানো হচ্ছে আমার স্ত্রীর ওপর। এত চাপের কারণে বহু BLO অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, মারা যাচ্ছেন।'

বিএলও কর্তব্য প্রতিরোধ ফোরামের আহ্বায়ক অনিমেষ হালদার বলেন, 'এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। রাজ্যজুড়ে BLO-দের ওপর অমানবিক চাপ তৈরি করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত সময় বা অবকাঠামো নেই। পরিকল্পনার সম্পূর্ণ অভাব।' সংগঠনটি নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেবে বলে জানিয়েছে।
 

 

POST A COMMENT
Advertisement