এবছর বর্ষা পড়তেই নিউটাউনে সাপের আতঙ্ক বেড়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। মৃত্যু হয়েছে দু'জনের। দুজনেই অল্পবসয়ী। একজন অন্য রাজ্য থেকে একটি পরীক্ষা দিতে নিউটাউনে এসেছিলেন। অন্যজন নিউটাউনেরই নিরাপত্তারক্ষী। এক ক্লাস টেনের ছাত্রীও সাপের কামড় খেয়ে হাসাপাতালে ভর্তি হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে দূরের হাসপাতালে নিয়ে যেতে গিয়ে রোগীর পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে বলে দাবি অনেকের। তাই নিউটাউন ডেভলপমেন্ট অথরিটি (এনকেডিএ) চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইন্সটিটিউটে সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা করার অনুরোধ করল। বিষয়টিতে স্বাস্থ্য দফতরে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এনকেডিএ-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁরা মঙ্গলবার ইনস্টিটিউটের অধিকর্তাকে চিঠি দিয়েছেন। এছাড়াও স্বাস্থ্যদফতরকে চিঠিতে অনুরোধ করা হয়েছে। নিউটাউনে সাপে কাটা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৩০টি বেডের হাসাপাতাল পরিকাঠামো তৈরি করারও অনুরোধ করা হয়েছে। নিউটাউনে ৫টি প্রাথমিক আর্বান হেলথ সেন্টার রয়েছে। সেগুলির একটিতেই ওই পরিষেবা চালুর পরামর্শ দিয়েছে এনকেডিএ। বর্তমানে সেখানকার স্বাস্থ্যকর্মীরা ১১টা থেকে ৩টে পর্যন্ত কাজ করে। কিন্তু অনুরোধ করা হয়েছে, ওই পরিষেবা সারা সপ্তাহ, ২৪ ঘণ্টা দেওয়া হোক। আকাঙ্খা মোড়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির জন্যই ওই সুপিরিশ করা হয়েছে।
এনকেডিএ-র চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন বলেছেন, 'আমরা চিত্তরঞ্জন হাসপাতালকে ওই অনুরোধ করেছি। পাশাপাশি স্বাস্থ্য দফতরকেও জানানো হয়েছে। ওই হাসপাতালে ক্যান্সারের চিকিৎসা হয়, সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসার কোনো পরিকাঠামো নেই। কিন্তু ওই পরিকাঠামো ও দক্ষ কর্মী ও চিকিৎসকের ব্যবস্থা যাতে করা হয়, তা অনুরোধ করা হয়েছে। তবে এখনও বিষয়টিতে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।'
এদিকে, নিউটাউনের একাধিক জায়গায় অ্যান্টি স্নেক ভেনমের শিশি সংরক্ষণ করা শুরু হয়েছে। নিউটাউন বিজনেস ক্লাব, আকাঙ্খা মোড় এবং নিউটাউন মেলা মাঠের কাছে সাপের বিষের প্রতিষেধক রাখা হয়েছে। এতদিন নিউটাউনের বিধাননগর মহকুমা হাসপাতাল এবং রেকজুয়ানি গ্রামীণ হাসপাতাল ছিল নিকটতম চিকিৎসা কেন্দ্র। এনকেডিএ-র আবেদনে সরকার সাড়া দিলে এবার চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতালেও সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা শুরু হবে।