খেলার মাঠ দখল করার চেষ্টা ৷ ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনে এলাকার বাসিন্দাদের। জনমত গঠনে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার ৷ মুখ্যমন্ত্রী, ক্রীড়ামন্ত্রী, সাংসদ ও জেলাশাসককেও চিঠি দেওয়া হয় ৷ কোনমতেই খেলার মাঠ দখল হতে দেবেন না জানিয়ে আন্দোলনে এলাকার বাসিন্দারা৷
রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে এই মাঠ ৷ যা রাজপুর পল্লিশ্রী সমিতি ও হরকালি বিদ্যামন্দিরের মাঠ হিসেবেই সকলের কাছে পরিচিত ৷ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা এই মাঠেই খেলাধুলা করেন ৷ প্রতিবছর তাদের বার্ষিক স্পোর্টসও এই মাঠেই অনুষ্ঠিত হয় ৷ বিভিন্ন সময় এই মাঠে ফুটবল, ভলিবল, ক্রিকেট সহ নানান প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়েছে ৷ শুধু তাই নয় রাজনৈতিক সভাও হয়েছে এই মাঠে ৷ মাঠ বাঁচাতে যারা আন্দোলনে নেমেছেন তাদের অনেকেই এখানে খেলে বড় হয়েছেন। তাদের অনেকেই এখন নিজেদের সন্তানকে নিয়ে এই মাঠে আসেন। হঠাৎ করেই এই মাঠ দখল করার চেষ্টা শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ।
হরকালি বিদ্যামন্দিরের শিক্ষিকা প্রণমিতা রায়চৌধুরী জানান তিনি স্কুলে জয়েন করা থেকেই দেখছেন এই মাঠে স্কুলের ছেলে ও মেয়েরা খেলাধুলা করে আসছে ৷ দীর্ঘদিন ধরেই তারা এই মাঠ ব্যবহার করে আসছেন ৷ তারা এটা স্কুলের ও পল্লিশ্রী সমিতির মাঠ বলেই জানান ৷ এই মাঠে দুর্গাপুজাও হয় বলে জানান তিনি ৷
মাঠ বাঁচানোর আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত মন্টু চক্রবর্তী জানান তিনি ৭৮ সাল থেকে এই মাঠে খেলছেন ৷ অমিত ভদ্রের মত ফুটবলারও এই মাঠে খেলেছে ৷ দালালচক্র, প্রমোটিং চক্র এই মাঠ দখলের চেষ্টা করছে বলে তার অভিযোগ ৷
ভুয়ো দলিল দেখিয়ে কয়েকজন এই মাঠ দখলের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন এলাকার গৄহবধু সোমা দাস ৷
এলাকার বাসিন্দা সৌমেন চক্রবর্তীও এই মাঠ জোর করে দখলের অভিযোগ করেছেন ৷
দখলদারির জেরে বিভিন্ন জায়গায় মাঠের সংখ্যা ক্রমশ কমছে ৷ এই মাঠ যাতে কোনওভাবেই দখল হয়ে না যায় তারজন্য আন্দোলন জারি থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা ৷
রিপোর্টার: প্রসেনজিত্ সাহা