গণধর্ষণের ঘটনার পরে বদলে যেতে চলেছে সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এবার কলেজের নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকবেন প্রাক্তন সেনাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার কলেজের পরিচালন সমিতির বৈঠকে প্রাক্তন সেনা কর্মীদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের আর নিরাপত্তার দায়িত্বে রাখা হবে না বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে ক্যাম্পাসে আরও সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হবে। কলেজের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি আরও শক্তিশালী করা হবে।
গণধর্ষণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের সঙ্গেই অস্থায়ী কর্মী হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অমিত অধিকারী। তাঁদেরকে আর কাজে না রাখার সিদ্ধান্ত হয় পরিচালন সমিতির বৈঠকে। এর আগে কলকাতা হাইকোর্টে গিয়ে ওই ল কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল, ক্যাম্পাসে পুলিশ পিকেট বসাতে হবে। কিন্তু আদালত তা নাকচ করে জানিয়ে দেয়, শিক্ষাঙ্গনে পুলিশ পিকেট পড়াশোনার পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের ২ জুলাই অভিযুক্ত মনোজিত কলেজে অস্থায়ী কর্মীর কাজ পেয়েছিলেন। একই সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে নিযুক্ত হয়েছিলেন বরুণ ও অমিত। তাঁদের ভূমিকা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। তাই তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিচালন সমিতি।
কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি অশোক দেব জানিয়েছেন, গাইডলাইন মেনে কলেজের ইন্টারনাল কমপ্লেন কমিটি গঠন হবে। কলেজে আরও বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হবে। এর জন্য টেন্ডার ডাকা হবে। সিসিটিভি লাগানোর প্রক্রিয়া ১৫ অগাস্টের মধ্যে হয়ে যাবে বলে জানান তিনি। তৃণমূল বিধায়ক অশোক দেব আরও জানান যে কলেজের দেওয়ালে মনোজিতকে নিয়ে নানা স্লোগান লেখা রয়েছে। সেই সব লেখা সব মুছে ফেলা হবে। যার জন্য় কলেজের দেওয়াল রং করার কাজ দু-একদিনের মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে।
গত ২৫ জুন রাতে সাউথ ক্যালকাটা ল' কলেজে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ওই কলেজেরই প্রাক্তনী মনোজিৎ মিশ্র। ঘটনার পর কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল অনির্দিষ্টকালের জন্য। তারপর ৭ জুলাই থেকে ফের কলেজ শুরু হয় ৷ ১৬ জুলাই থেকে পরীক্ষা শুরু হয়েছে।