কলেজ ক্যাম্পাসে দু'মাস আগে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তবুও নিরাপত্তা নিয়ে কোনও অগ্রগতি হয়নি সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে। গভর্নিং বডি ২৪ জুলাই বৈঠকে ক্যাম্পাসজুড়ে প্রায় ৮৫টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিলেও আজ পর্যন্ত একটি ক্যামেরাও ইনস্টল করা হয়নি।
২৫ জুন কলেজ চত্বরে প্রথম বর্ষের ২৪ বছর বয়সী এক ছাত্রীর ওপর নৃশংস গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এর পর থেকেই ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। জুলাই ও আগস্টে নির্ধারিত বিএ এলএলবি এবং এমএ এলএলবি পরীক্ষা পর্যন্ত করাতে পারেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ।
কলেজের সহ অধ্যক্ষ নয়না চ্যাটার্জি জানিয়েছেন, সিসিটিভি এখনও বসানো সম্ভব হয়নি। ক্লাসরুম, করিডোর ও লিফটে ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা থাকলেও কাজ শুরু হয়নি। আগামী শুক্রবার গভর্নিং বডির বৈঠকে সিসিটিভি ও নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের খরচ এবং সম্ভাব্য ফি কাঠামো নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।
এখন পুলিশ অস্থায়ীভাবে ১২টি সিসি ক্যামেরা বসিয়েছে। তবে কলেজ সূত্র জানাচ্ছে, পুলিশ পোস্ট প্রত্যাহার হলে সেই ক্যামেরাগুলিও সরিয়ে নেওয়া হবে। স্থায়ী নিরাপত্তারক্ষীরও অবসর আসছে ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে। ফলে দীর্ঘমেয়াদে ক্যাম্পাসের সুরক্ষা নিয়েই প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে।
এর আগে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ইউজিসির অ্যান্টি-র্যাগিং হেল্পলাইনে অভিযোগের পর তিনটি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো কার্যকরভাবে ব্যবহার হয়নি।
অভিযুক্তদের প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন জানানো গ্রাফিতিও এখনও কলেজ প্রাঙ্গণে রয়ে গেছে। প্রধান অভিযুক্ত প্রাক্তন টিএমসিপি সভাপতি মনোজিৎ মিশ্রের নামে লেখা, 'মনোজিত দাদা আমাদের হৃদয়ে আছে', এই বার্তা এখনো দেয়ালে টিকে আছে, যদিও তৃণমূল বিধায়ক ও কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি অশোক দেব এক মাস আগে আশ্বাস দিয়েছিলেন গ্রাফিতি মুছে ফেলা হবে।
উল্লেখ্য, ধর্ষণের ঘটনায় ছাত্র প্রমিত মুখার্জি, জায়েব আহমেদ, নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী ব্যানার্জি এবং মনোজিৎ মিশ্র ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে।