Sovon Chatterjees Son : বাবা শোভনকে ছাপার অযোগ্য ভাষায় আক্রমণ পুত্র ঋষির, পাল্টা দিলেন বৈশাখী

কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বেনজির আক্রমণ তাঁরই ছেলে ঋষি চট্টোপাধ্য়ায়ের। ঋষি স্টেটাসে লিখলেন, 'একজন মহিলাকে ন্যূনতম সম্মান কীভাবে করতে হয়, সেটাই জানেন না।' আর এই পোস্ট সামনে আসার পর ফের দানা বাঁধল শোভন-রত্না বিতর্ক। ঋষির এই স্টেটাস নিয়ে মুখ খুললেন শোভনবাবুর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

Advertisement
বাবা শোভনকে ছাপার অযোগ্য ভাষায় আক্রমণ পুত্র ঋষির, পাল্টা দিলেন বৈশাখীফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বেনজির আক্রমণ তাঁরই ছেলে ঋষি চট্টোপাধ্য়ায়ের
  • ঋষি স্টেটাসে লিখলেন, 'একজন মহিলাকে ন্যূনতম সম্মান কীভাবে করতে হয়, সেটাই জানেন না।

কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বেনজির আক্রমণ তাঁরই ছেলে ঋষি চট্টোপাধ্য়ায়ের। ঋষি স্টেটাসে লিখলেন, 'একজন মহিলাকে ন্যূনতম সম্মান কীভাবে করতে হয়, সেটাই জানেন না।' আর এই পোস্ট সামনে আসার পর ফের দানা বাঁধল শোভন-রত্না বিতর্ক। ঋষির এই স্টেটাস নিয়ে মুখ খুললেন শোভনবাবুর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। 

বুধবার সন্ধেবেলা ঋষি তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে লেখেন, 'একজন মহিলাকে ন্যূনতম সম্মান কীভাবে করতে হয়, সেটাই জানেন না। এক মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় মিথ্যা অভিযোগ খণ্ডনের জন্য লড়াই করছেন, নিজের পরিবারকে রক্ষা করতে আইনি লড়াই করছেন। এমন এক জনের বিরুদ্ধে তাঁকে লড়তে হচ্ছে যাঁকে তিনি ২২ বছর ধরে অন্ধ ভাবে নিজের স্বামী বলে জেনেছেন। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে কুর্নিশ, তিনি এখনও নিজের পড়ন্ত যৌবনে বান্ধবী খুঁজে বেড়াচ্ছেন। জনসমক্ষে এক জন মহিলার সঙ্গে কেমন ব্যবহার করতে হয়, তা-ও জানেন না!'

সেই স্টেটাসের মধ্যে এমন একটি লাইনও লিখেছেন ঋষি, যেটি ছাপার যোগ্য নয়। যদিও এই স্টেটাস তিনি সচেতনভাবেই দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঋষি। তিনি বলেন, 'আমি, আমার মা রত্না ও বোন দিনের পর দিন যন্ত্রণা সহ্য করছি। কোথায় বাবা তো কোনওদিন আমাদের পাশে এসে দাঁড়ালেন না। তিনি অন্য একজন মহিলার সঙ্গে আছেন। কেন ? আমি যা লিখেছি তা ভেবেই লিখেছি। আমার মা রত্নাকে দিনের পর দিন অপদস্থ করা হচ্ছে। আমি ছেলে হিসেবে কীভাবে তা সহ্য করব?' 

এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, 'ঋষিকে মানুষ করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু রত্না সেটা পারেননি। রত্নার অঙ্গুলিহেলনে ঋষি এসব বলছে। তবে বাবা হিসেবে আমি দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু, যখন আমি দেখি রত্না অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন, তখন আমি তাঁকে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। ঋষি ২২ বছরের প্রসঙ্গ তুলেছে। তবে যদি ওই বিগত ২২ বছর রত্না স্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করত, তাহলে এসব হত না। ঋষিকে আমি শাসন করেছি, লেখাপড়া করিয়েছি সেই ঋষি রত্নার প্রশ্রয়ে আজ এই জায়গায় এসেছে। সে বিপথে পরিচালিত হয়েছে।' 

Advertisement

ঋষি তাঁর স্টেটাসে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না নিলেও তাঁর ইঙ্গিত যে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই তা কার্যত স্পষ্ট। এই নিয়ে বৈশাখী বলেন, 'ঋষি আগে নিজের পরিচয় গড়ে তুলুক। ওকে এখনও শোভনের পরিচয়ে নিজেরে পরিচিত করতে হয়। ওর মতো বয়সে আমরা যা যা ভালো কাজ করেছিলাম, যেভাবে নিজেকে গড়ে তুলেছিলাম, সেগুলো আগে করে দেখাক। আমার মনে হয়, ও এখনও শিশু। শোভন সুন্দর মনের মানুষ। ওর ছেলেও সুন্দর হোক। জীবনে উন্নতি করুক। তারপর ওকে নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেব।' 

POST A COMMENT
Advertisement