'তৃণমূলেই আছেন কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন’, জল্পনা উস্কালেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জেতার পর বাম–কংগ্রেস জোটের জয়ী প্রতিনিধি হিসাবে গত শনিবার বিধানসভায় গিয়েছিলেন বাইরন বিশ্বাস। বিধানসভায় এসে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে কিছুক্ষণ আলোচনার পর বেরিয়ে যান বাইরন। সাগরদিঘিতে তৃণমূল কংগ্রেসের নৌকা ডুবিয়েছেন বাইরন বিশ্বাস। তিনিই আবার শিবরাত্রির সলতের মতো বিধানসভায় কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ক। এদিকে বাইরনকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সাগরদিঘির বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস জানিয়েছেন তিনি তৃণমূলেরই। বিমানবাবুর দাবি, বাইরন বিশ্বাস তাঁকে নিজে এই কথা জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাম কংগ্রেসের কোনও প্রার্থী এতদিন বিধানসভায় পা রাখতে পারেননি। একমাত্র আইএসএফ-এর নওশাদ সিদ্দিকিই জিতেছিলেন ভাঙড় কেন্দ্র থেকে। তার পরে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতলেন কংগ্রেসের বাইরন বিশ্বাস। শনিবার বাইরন বিশ্বাসকে সঙ্গে করে বিধানসভায় আসেন প্রদেশ কংগ্রেসের দুই নেতা, প্রাক্তন বিধায়ক অসিত মিত্র এবং নেপাল মাহাত।
শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাইরন বলেন, ‘আজকে প্রথমবার বিধানসভায় এলাম। আমার সঙ্গে স্পিকারের কথা হলো। উনি বললেন আমার শপথের ব্যাপারে রাজভবন থেকে কোন মেসেজ বা চিঠি আসেনি। আসলে আমাকে জানাবেন। খুব ভাল অনুভূতি। খুব ভাল লাগছে আমার। আমি যেসব প্রতিশ্রুতিগুলি দিয়েছিলাম জনসাধারণকে সেই সব প্রতিশ্রুতির দাবি রাখব বিধানসভায়। সব কাজই হবে। আশা করি, আমাকে কাজ করতে সাপোর্ট করবে সরকার।’ তৃণমূলের দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রায় ২৩ হাজার ভোটে হারিয়েছেন বাইরন।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূল থেকে দূরে সরে গিয়েছে বলে আমার মনে হয় না। সাগরদিঘি একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছিল। আপনার দেখেছেন নব নির্বাচিত বিধায়ক নিজেই স্বীকার করেছেন যে তিনি তৃণমূলের লোক এবং তৃণমূলের ভোটেই তিনি জিতেছেন। আমাদের প্রার্থী নির্বাচনে হয়তো কোনও ত্রুটি ছিল। তিনি তৃণমূলে যোগ দেবেন কিনা, সেটা আমি বলতে পারব না।” বাইরন বিশ্বাস ইস্যুতে স্পিকারের এই মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।