নিজস্ব ছবিপরীক্ষার ৫৪ দিনের মাথায় অবশেষে ফলপ্রকাশ হয়েছে SSC একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির। শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ ফলপ্রকাশ হলেও শনিবার সকাল পর্যন্ত অধিকাংশই চাকরীপ্রার্থীই নিজেদের রেজাল্ট দেখতে পাচ্ছেন না। স্কুল সার্ভিস কমিশনের সার্ভার ডাউন থাকায় ওয়েবসাইটে ক্লিক করলেই স্ক্রিনে ভেসে উঠছে 'This site cant be reached.'
আন্দোলনকারী শিক্ষক মেহবুব মণ্ডলের কথায়, 'শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত সমস্যায় পড়েন অধিকাংশ চাকরীপ্রার্থীই। রেজাল্ট দেখতে পারছেন না কেউই।' যদিও শনিবার সকাল থেকে ওয়েবসাইট দেরিতে হলেও খুলছে। রোল নম্বর দিয়ে রেজাল্ট দেখার পেজটিও ওপেন হচ্ছে। তবে দীর্ঘ সময় নিচ্ছে লোড হতে। SSC-র তরফে জানানো হয়, যেহেতু বিপুল পরিমাণ পরীক্ষার্থী একসঙ্গে রেজাল্ট দেখার জন্য ওয়েবসাইট খুলছেন। গ্রুপ–সি ও গ্রুপ–ডি পদে শিক্ষাকর্মী নিয়োগের আবেদন প্রক্রিয়াও চলছে। সেহেতু টেকনিক্যাল সমস্যা তৈরি হয়েছে। তবে রেজাল্ট সকলেরই আপলোড হয়ে গিয়েছে কমিশনের সাইটে। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, কমিশনের ওয়েবসাইট ক্র্যাশ করে গিয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের অবশ্য দাবি, মধ্যরাতের পর থেকে ওয়েবসাইট সচল হয়েছে। অনেকেই রেজাল্ট দেখতে পেয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গত এপ্রিলে খারিজ হয় ২০১৬ সালের SSC-র প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক–শিক্ষাকর্মীর নিয়োগ। এর মধ্যে শিক্ষকের সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ২০৬। তাঁদের মধ্যে ‘টেন্টেড’রা বাদ দিয়ে কেউ একাদশ–দ্বাদশ, কেউ নবম–দশম এবং কেউ দু’টি স্তরেই শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় বসেছিলেন। ফলে তাঁদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে এই রেজাল্টের উপরেই। তাঁরা অধিকাংশই মধ্যরাত পর্যন্ত নিজেদের রেজাল্ট দেখতে না পেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। ‘যোগ্য’ চাকরিহারা শিক্ষকদের অনেকেরই ভবিষ্যৎ জড়িয়ে এই ফলের সঙ্গে।
SSC-র তরফে যদিও স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, কোনও মেধাতালিকা প্রকাশ হয়নি, কেবলমাত্র ৬০ নম্বরে একজন চাকরিপ্রার্থী কত নম্বর পেয়েছেন সেটি দেখা যাচ্ছে। আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থী অভিজিৎ সাঁধুখা বলেন, 'এটি স্রেফ আইওয়াশ। ৬০-এ কে কত নম্বর পেয়েছি, তা তো আমরা আগেই জানি।' SSC জানিয়েছে, ইন্টারভিউয়ে ডাক পাওয়া প্রার্থীদের তালিকা দ্রুত প্রকাশিত হবে। এই প্রার্থীদের নথিপত্র যাচাই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ১৭ নভেম্বর থেকে।
একাদশ–দ্বাদশে মোট ৩৫টি বিষয়ে পরীক্ষায় বসেছিলেন ২ লক্ষ ২৯ হাজার ৬০৬ জন। ১৪ সেপ্টেম্বর ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হয়েছিল। একাদশ–দ্বাদশে শূন্যপদ ১২ হাজার ৫১৪। পরীক্ষার্থীরা কমিশনের ওয়েবসাইটে (https://westbengalssc.com) লগ–ইন করে শুধু নিজের প্রাপ্ত নম্বর দেখতে পাবেন।