রাজ্যে ৯ বছর পর রবিবার SSC-র নবম দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হল। তার মাঝেই কুণাল ঘোষের দাবি, উত্তরপ্রদেশ সহ একাধিক BJP শাসিত রাজ্য থেকে বাংলায় পরীক্ষা দিতে এদিন পৌঁছে গিয়েছিলেন কয়েক হাজার প্রার্থী। তাদের সকলের কথায়, ওখানে চাকরি নেই। ঠিকমতো পরীক্ষা হয় না। বারবার স্থগিত হয়েছে। সে কারণেই তারা এ রাজ্যে SSC দিতে এসেছেন। এক দিকে যেমন বহু নতুন ক্যান্ডিডেট পরীক্ষায় বসেছেন, একই সঙ্গে পরীক্ষা দিয়েছেন ২০১৬ সালে চাকরি পাওয়া যোগ্য শিক্ষকরাও। ফলে ভিন রাজ্যের পরীক্ষার্থী থাকায় প্রশ্নপত্র ভাল হলেও প্রতিযোগিতা বাড়বে বলেই আশঙ্কায় তারা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে কুণাল ঘোষ চাকরির ইস্যু নিয়ে শুধু বাংলাকে অপদস্ত করা চলবে না, তাঁদের নিজের রাজ্যেও কী চলছে, তা দেখতে হবে। এমনিতেই এই পরীক্ষাকে অসম লড়াই বলে দাবি করেছেন যোগ্য চাকরিহারারা। তার মধ্যে ভিন রাজ্যের প্রার্থীদের সংখ্যা দেখে উদ্বিগ্ন 'যোগ্যরা'।
উল্লেখ্য, রবিবারের নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় ৩ লাখ ১৯ হাজারের মতো পরীক্ষার্থী বসেছেন। এর মধ্যে বহু পরীক্ষার্থী ভিনরাজ্যের বলে জানা গিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহার থেকে অনেক পরীক্ষার্থী বসেছেন এদিনের পরীক্ষায়। হিন্দি মিডিয়ামে এই পরীক্ষার শূন্যপদ ২ হাজার ২৫১। সেই শূন্যপদের জন্যই ভিনরাজ্যের এই প্রার্থীরা পরীক্ষায় বসছেন।প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের পরীক্ষায় হিন্দি মিডিয়ামের প্রার্থীদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ ছিল না। তবে এবার প্রথমবার হিন্দি মিডিয়ামের প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এদিকে ভারতীয় নাগরিক হলেই পরীক্ষায় বসা সম্ভব। তাই ভিন রাজ্যের বহু পরীক্ষার্থী বাংলায় এসেছেন পরীক্ষা দিতে।
এই পরীক্ষায় ভাগ্য নির্ধারণ হবে ৫ লাখ ৬৫ হাজার পরীক্ষার্থীর। মোট ৩৫ হাজার ৭২৬ শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে এই পরীক্ষা থেকে। তার মধ্যে এদিন নবম দশমের জন্য পরীক্ষায় বসেন ৩ লক্ষ ১৯ হাজার ৯১৯ জন। ৬৩৬ পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা হয়েছে। সকলেই পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে এসে জানিয়েছেন, প্রশ্ন ভাল এসেছে। পরীক্ষার্থীরা প্রথমবার প্রশ্নপত্রের কপি বাড়ি নিয়ে যেতে পারছেন। একই সঙ্গে OMR শিটের কার্বন কপিও পরীক্ষা শেষে হাতে পেয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। অনেকেই মনে করছেন, এর ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নতুন কোনও কেলেঙ্কারির সম্ভাবনা কম।