SSC Teachers Protest: চাকরিহারাদের কেন লাঠিচার্জ? 'টানা ৭ ঘণ্টা সংযত ছিল পুলিশ...' যা বললেন ADG সুপ্রতিম

বৃহস্পতিবার রাতে চাকরিহারা শিক্ষকদের অবস্থান বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বিকাশ ভবনের সামনে। চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। একাধিক আহত হন।

Advertisement
চাকরিহারাদের কেন লাঠিচার্জ? 'টানা ৭ ঘণ্টা সংযত ছিল পুলিশ...' যা বললেন ADG সুপ্রতিমচাকরিহারাদের কেন লাঠিচার্জ? 'টানা ৭ ঘণ্টা সংযত ছিল পুলিশ...' যা বললেন ADG সুপ্রতিম
হাইলাইটস
  • বৃহস্পতিবার রাতে চাকরিহারা শিক্ষকদের অবস্থান বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বিকাশ ভবনের সামনে
  • লাঠিচার্জের প্রসঙ্গে শুক্রবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল পুলিশ

চাকরিহারা শিক্ষকদের অবস্থান ঘিরে বৃহস্পতিবার রাতে তুলকালাম হয় বিকাশ ভবনের সামনে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পরিস্থিতি গরম হতে শুরু করে। রাতে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। যদিও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অনেক সংযমের পরিচয় দিয়েছেন পুলিশ কর্মীরা। বাধ্য় হয়েই বলপ্রয়োগ করতে হয়েছে। বিকাশ ভবনে অনেক অফিস রয়েছে। সেখানকার ৫০০-৬০০ কর্মচারী চাকরিহারাদের অবস্থানের জেরে আটকে পড়েছিলেন। তাঁদের বের করতেই হালকা বলপ্রয়োগ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে চাকরিহারা শিক্ষকদের অবস্থান বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বিকাশ ভবনের সামনে। চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। একাধিক আহত হন। বিকেল থেকেই প্রচুর সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল বিকাশ ভবন চত্বরে। সন্ধে গড়াতেই পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে শুরু করে। সন্ধ্যা ৭.৩০ এর পর ঘটনাস্থল থেকে চাকরিহারাদের টেনে হিঁচড়ে বের করতে শুরু করে পুলিশ। তখনই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। চাকরিহারাদের দাবি, তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু পুলিশ বিনা প্ররোচনায় লাঠিচার্জ করে। আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁরা পরীক্ষায় নতুন করে বসবেন না। সেই বার্তা পৌঁছে দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে। তাঁদের সঙ্গে আলোচনাও চান। সেই জন্য অবস্থান করছেন। তবে সেই অবস্থানে লাঠিচার্জ করা হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে বিকাশ ভবনের সামনে লাঠিচার্জের প্রসঙ্গে শুক্রবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল পুলিশ। এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার বলেন, 'চাকরিহারা শিক্ষকরা ১০ দিন ধরে পালা করে অবস্থান বিক্ষোভ করছিলেন। পুলিশ কোনও ধরনের হস্তক্ষেপ করেনি। গতকাল এই অবস্থান অন্য চেহারা নেয়। দু থেকে আড়াই হাজার মানুষ ব্যারিকেড ভেঙে দিয়ে চায়। পুলিশ বারেবারে শান্তির আবেদন জানিয়েছে। জোর করে গেট ভেঙে ঢুকে অবস্থান শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে ঢোকে। কাউকে বেরোতে দেবেন না বলেন। পুলিশ অসহায় ছিল বলে যে প্রচার করা হচ্ছে, সেটা ঠিক নয়। পুলিশ অসহায় ছিল না। পুলিশ সচেতন ভাবেই কোনও কিছু করেনি। ৭ ঘণ্টা ধরে বুঝিয়েছে। বিকাশ ভবনে ৫৫টি সরকারি দফতর আছে। ৫০০ থেকে ৬০০ কর্মী আছেন। একজন সন্তানসম্ভভা মহিলা ছিলেন, এক মহিলার মায়ের অবস্থা ঠিক নয়। আমরা কল পাচ্ছিলাম। বাধ্য হয়ে এক মহিলা ঝাঁপ দিয়েছেন। পরিস্থিতি দেখেই কর্মচারীদের আমরা বের করে আনার সিদ্ধান্ত নিই। যখন তাদের বের করনোর চেষ্টা হচ্ছিল তখন পুলশের ওপরে চড়াও হন আন্দোলনকারীরা। যারা বেরোচ্ছিলেন, তাঁদের ওপরেও চড়াও হন। তাঁদের ধাক্কা মারা হয়। গতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন হলে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু যদি মারধর করা হয়, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করা হয়, মানুষকে বিনা দোষে আটকে রাখা হয়, তখন সেটা গণতান্ত্রিক থাকে না। প্রতিবাদ করার অধিকার থাকলে, সারাদিন কাজ করে বাড়ি ফেরার অধিকারও রয়েছে। আমাদের বলপ্রয়োগের উদ্দেশ্য ছিল না। পুলিশের ওপরে ইট, বোতল ছোড়া হয়েছে। আমরা নিরাপদে বের করেছি। যেটুকি বলপ্রয়োগের প্রয়োজন সেটাই করতে হয়েছে। এটা স্বীকার করছি আমরা। ৫০০-৬০০ লোককে আটকে রাখা ঠিক কাজ নয়। পুলিশ অসহায় ছিল না, সংযত ছিল। ১৯ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। যারা বিশৃ্ঙ্খলা করেছেন, পুলিশকে মেরেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেব।'

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement