SSC Hunger Strike Withdrawn: 'তৃণমূলের বাইকবাহিনীর দাপাদাপি', বাধ্য হয়ে অনশন তুললেন SSC চাকরিহারারা

এসএসসি ভবনের সামনে অনশন প্রত্যাহার করে নিলেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে সরকারের থেকে ন্যূনতম সহযোগিতাটুকু তাঁরা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। সেইসঙ্গে তাঁদের আরও দাবি, বায়ো টয়লেট পর্যন্ত রাখতে দিচ্ছে না পুলিশ। এমনকী তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীকা সবসময় সেখানে নজরদারি চালাচ্ছে বলেও দাবি। এমতাবস্থায় স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন চাকরিহারা শিক্ষকরা।

Advertisement
 'তৃণমূলের বাইকবাহিনীর দাপাদাপি', বাধ্য হয়ে অনশন তুললেন SSC চাকরিহারারাSSC ভবনের সামনে অনশন তুলে নিলেন চাকরিহারারা

এসএসসি ভবনের সামনে অনশন প্রত্যাহার করে নিলেন চাকরিহারা শিক্ষকরা।  শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে সরকারের থেকে ন্যূনতম সহযোগিতাটুকু তাঁরা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। সেইসঙ্গে তাঁদের আরও দাবি, বায়ো টয়লেট পর্যন্ত রাখতে দিচ্ছে না পুলিশ। এমনকী তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীকা সবসময় সেখানে নজরদারি চালাচ্ছে বলেও দাবি। এমতাবস্থায় স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন চাকরিহারা শিক্ষকরা।

প্রসঙ্গত  শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে ১১ এপ্রিল বৈঠক করেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। দীর্ঘ তিন ঘণ্টার সেই বৈঠকের পর চাকরিহারারা জানিয়েছিলেন, সরকারের ওপর 'ভরসা' রাখছেন তারা। তবে এরই সঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেনন তাঁরা। তবে রবিবার এসএসসি ভবনের সামনে থেকে অনশন তুলে নিয়েছেন চাকরিহারারা। 

দ্রুত যোগ্যদের  তালিকা এবং ওএমআর শিটের ‘মিরর ইমেজ’ প্রকাশের দাবিতে বুধবার রাত থেকে এসএসসি দফতরের সামনে অবস্থানে বসেন চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ। তিনদিন অনশন চলে, অনেকে দফায় দফায় যোগও দেন পরে। চার নম্বর দিনে এসে  অনশন প্রত্যাহার করলেন তাঁরা। চরম অব্যবস্থার কারণে এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে চাকরিহারাদের পক্ষ থেকে। চাকরিহারাদের সঙ্গে শুক্রবার বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বৈঠক করেন। ওই বৈঠক যথেষ্ট ইতিবাচক ছিল। তবে তা সত্ত্বেও রাজপথ ছাড়েননি চাকরিহারারা। সল্টলেকের এসএসসি ভবনের সামনে অনশন চালিয়ে যান সুমন বিশ্বাস, পঙ্কজ রায় এবং প্রতাপ রানা। চাকরি ফেরৎ না পাওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন বলেই দাবি করেন।  এদিন তারা বলেন, আরজি করকাণ্ডে চিকিৎসক আন্দোলনের মতোই শিক্ষকদের আন্দোলনও ভেস্তে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। চতুর্থ দিনে তাই অনশন ভাঙতে বাধ্য হলেন তাঁরা। শক্তি সঞ্চয় করে পরে বৃহৎ আকারে আন্দোলন করা হবে বলেও জানান চাকরিহারা শিক্ষকরা। সল্টলেকে আচার্য সদনের সামনে লাগাতার অনশন চালিয়ে যাচ্ছিলেন ৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী।  তাঁদের বক্তব্য, "মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী কতটা নির্মম ভাবুন। আমদের বক্তব্য একটাই, যোগ্যদের তালিকাটা দিয়ে দিন। মিরর ইমেজ প্রকাশ করে রিভিউ পিটিশন দিয়ে যোগ্যদের চাকরিটা বাঁচান। দুর্নীতি হয়েছে, তার জন্য আমাদের পরিবার ভেসে যাবে! আমাদের ঋণ আছে, অসুস্থ বাবা -মা আছেন, আমরা কোথায় যাব?"

Advertisement

এদিকে এসএসসি ভবনের সামনে অনশন তুললেও চাকরিহারাদের স্পষ্ট বক্তব্য, যতক্ষণ না যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে এবং ২০১৬ সালের পরীক্ষায় বসা ২২ লাখ চাকরিপ্রার্থীর ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হচ্ছে ততক্ষণ প্রতিবাদ প্রত্যাহার করবেন না তাঁরা। এরই সঙ্গে ১৬ এপ্রিল থেকে দিল্লির যন্তরমন্তরেও অবস্থান বিক্ষোভে বসবেন ১৫০ জন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা। পাশাপাশি গান্ধীমূর্তির পাদদেশে শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে চাকরিহারাদের অবস্থান। 

POST A COMMENT
Advertisement