SSC-র চাকরি বাতিল মামলায় হাইকোর্টে সাময়িক স্বস্তিতে স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষা দফতর। গত ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের চাকরি বাতিল মামলায় যে নির্দেশ দিয়েছিল তা পালন করছে না স্কুল সার্ভিস কমিশন ও স্কুল শিক্ষা দফতর। এই মর্মে মামলা করা হয় হাইকোর্টে। তবে মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চ। তাঁদের তরফে জানানো হয়, মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। সেই কারণে এই মামলা শীর্ষ আদালতই শুনবে।
যদিও মামলাকারীদের আইনজীবীরা কোর্টে সওয়াল করেন, এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে চললেও হাইকোর্টের শোনার এক্তিয়ার রয়েছে। আদালত নির্দেশ অমান্যের প্রশ্নে সংবিধানের ২১৫ ধারা অনুযায়ী ক্ষমতা দেওয়া আছে হাইকোর্টকে। এটা শোনার পর বিচারপতিরা জানান, আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি।
গত শুনানিতে বিচারপতি দেবাংশু বসাক সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে দাগি শিক্ষকদের বেতন ফেরানো ও অযোগ্যদের ওএমআর শিট প্রকাশের কথা বলে। তবে মামলাকারীদের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরও তা কার্যকর করেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন ও স্কুল শিক্ষা দফতর। তবে আজকের শুনানিতে হাইকোর্টে জানায়, এই মামলা কেন শুনবে হাইকোর্ট তার ব্যাখ্যা আগে দিতে হবে মামলাকারীদের আইনজীবীদের।
গত ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে। ২০১৬ সালের ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীর চাকরি যায়। অভিযোগ, সেই নির্দেশ কার্যকর করতে রাজ্য সরকারের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। বরং বেতনের তালিকায় এখনও অযোগ্যদের নাম আছে।
এদিকে ওএমআর শিট প্রকাশের দাবিতে এসএসসি দফতরের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন চাকরিহারারা। প্রায় ৪০ ঘণ্টা দফতরের ভিতর আটকে ছিলেন এসএসসি চেয়ারম্যান। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।