
State Urban Development Agency: 'স্বয়ংসিদ্ধা' (Swayamsiddha) পেল তার নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্র। এর ফলে আরও সহজে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা নিজেদের পণ্য বিপণনের সুযোগ পাবেন। উত্তর ২৪ পরগণার নিউ ব্যারাকপুরে সেটি খোলা হয়েছে।
সুডা-র উদ্যোগ
সেই বিপণন কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন পুর ও নগরোন্নয় দফতরের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Urban Development and Municipal Affairs Minister Chandrima Bhattacharya)। মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে স্টেট আর্বান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (State Urban Development Agency বা SUDA বা সুডা)। বিভিন্ন রকম প্রশিক্ষণ দিয়ে পিছিয়ে পড়া মহিলাদের স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য নানা রকম হাতের কাজ তৈরি করা হয়।
কী কী জিনিস
তাঁরা বিভিন্ন জিনিস তৈরি কেরন। যেমন ব্যাগ, পুতুল, মাটির কাজ, ঘর সাজানোর জিনিসপত্র। এর পাশাপাশি রয়েছে খাবারদাবারও। যেমন জ্যাম ,জেলি। এমনকি এখন তো সুইগি-জোমাটোর মতো অনলাইপ খাবার সরবরাহকারীদের মাধ্যমে অর্ডার করে তাদের ঘরোয়া রান্নার স্বাদ সবার কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
'স্বয়ংসিদ্ধা' (Swayamsiddha) এই কর্মকান্ডের অধীনে ৭১ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। কখনও পুজোর আগে তাদের হাতের কাজ বিক্রির ব্যবস্থা, কখনও মেলার মাধ্যমে সহযোগিতা করা। সারা বছর এই ব্যবস্থা করে তাদের পাশে থাকে সুডা (SUDA)।
স্থায়ী বিক্রিবাটার দোকান
তবে এখনও পর্যন্ত তাদের কোনও স্থায়ী কেন্দ্র ছিল না। এবার এদের পাকাপাকি বিপনন কেন্দ্র গড়ে উঠল নিউ ব্য়ারাকপুর পুরসভার চত্বরে। তার উদ্বোধন করেন রাজ্যে পুর ও নগরোন্নয় মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Urban Development and Municipal Affairs Minister Chandrima Bhattacharya)।
উপস্থিত ছিলেন সুডা (SUDA)-র অধিকর্তা সুপ্রিয় ঘোষাল, সুডা (SUDA)-র অতিরিক্ত অধিকর্তা শাওন সেন। সুডার অধিকর্তা এবং প্রকল্প আধিকারিক সুপ্রিয় ঘোষাল বলেন, "আমরা আশাবাদী আগামী দিনে স্বয়ংসিদ্ধা (Swayamsiddha) প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষ বিশেষ করে মহিলারা উপকৃত হবেন। এবং নিজেরাই স্বয়ংসিদ্ধা হয়ে উঠবেন। রাজ্য নগর জীবিকা মিশনের সমস্ত কর্মীরা এই লক্ষ্যেই বদ্ধ পরিকর।"
বছরের নানা সময়ে মেলায় বিভিন্ন রকমের হাতের কাজের পশরা সাজিয়ে বসেন এই মহিলারা। করোনা পরিস্থিতিতে নানা সমস্যা দেখা দিলেও স্বয়ংসিদ্ধার মতো প্রকল্পের মারফৎ এই মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যেই কাজ করে চলেছে সুডা।
অ্যক্রোপলিস মলে
রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর শিল্পকর্ম আরও জনপ্রিয় করতে উদ্যোগ নিয়েছিল রাজ্য সরকার। কলকাতার অ্যাক্রোপলিস মলে বিশেষ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছিল।