সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলায় বড় আপটে। বিরাট সুখবর রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য। বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ দিয়ে দিতে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ। শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। তাঁদের আরও দাবি, সুপ্রিম কোর্ট এটা পরিষ্কার করে দিয়েছে যে ডিএ পাওয়া অধিকার। তাই বাকি ডিএ রাজ্য সরকারকে দিতেই হবে।
শুক্রবার ডিএ মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যকে বলে, ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিয়ে দিন। যা শুনে রাজ্যের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন যে, এটা বিপুল পরিমাণ টাকা। এই টাকা দিতে হলে রাজ্য সরকারের কোমর ভেঙে যাবে। রাজ্যের তরফে আরও জানানো হয় যে, ডিএ পাওয়া কোনও অধিকার নয়। সাংবিধানিক অধিকার নয়। সম্ভব নয় এটা। এর পাল্টা শীর্ষ আদালত জানায় যে, বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ দিতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন অগাস্ট মাসে ধার্য করা হচ্ছে বলেও জানান বিচারপতি সঞ্জয় করোল।
পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীরা বর্তমানে ১৮ শতাংশ হারে ডিএ পান। সম্প্রতি, ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ায় রাজ্য সরকার। তার পরই ১৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ডিএ হয় ১৮ শতাংশ। সেই বর্ধিত ডিএ কার্যকর হয় ১ এপ্রিল থেকে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে এ রাজ্যের কর্মীদের মহার্ঘভাতার ফারাক এখনও ৩৭ শতাংশ। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ৫৫ শতাংশ হারে ডিএ পান।
এনিয়ে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অন্যতম নেতা নির্ঝর কুণ্ডু বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন ডিএ দয়ার দান, সরকার মনে করলে দেবে, না মনে করলে দেবে না। সুপ্রিম কোর্টে সরকার বড় থাপ্পড় খেয়েছে। সরকার মনে করছিল নিজেদের মর্জি মতো চলবে, ডিএ দেবে না। সুপ্রিম কোর্ট আজ ২৫ শতাংশ ডিএ দিতে নির্দেশ দিয়ে এটা পরিষ্কার করে দিয়েছে ডিএ সরকারি কর্মচারীদের অধিকার। সরকারের বোধোদয় হয় কি হয় না সেটা দেখার। সরকার ডিএ দেয়নি বলেই তো এতটা বকেয়া রয়েছে। এখন বলছে ডিএ দেওয়ার ক্ষমতা নেই। আগে যখন ক্ষমতা ছিল তখন অল্প অল্প করেও তো ডিএ টা মেটাতে পারত। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার দিতে পারছে, অন্য রাজ্য সরকারগুলি দিতে পারছে, তখন পশ্চিমবঙ্গ সরকার দিতে পারছে না। সরকারি কর্মচারীদে দোষী করে উনি (পড়ুন মুখ্যমন্ত্রী) সাধারণ মানুষের কাছে ভাল থাকার চেষ্টা করে গিয়েছেন। আজকে সুপ্রিম কোর্টকে বলতে হচ্ছে ২৫ শতাংশ ডিএ দিয়ে দিন, সরকারের কাছে তো এটা লজ্জার। আজকের নির্দেশর মাধ্যমে এটা স্বীকৃতি পেল যে সমস্ত সরকারি কর্মচারীর জন্য ডিএ পাওয়া অধিকার।