স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) ২৬ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে সমস্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন শীর্ষ আদালত সাফ জানায়, ‘২০২৫ সালের ৩ এপ্রিল এই মর্মে বিস্তারিত যুক্তি তর্ক আলোচনার পর যথাযথযোগ্য রায় দেওয়া হয়েছে। নতুন করে এই বিষয়ে শুনানির অবকাশ নেই। এই আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নেই।’
প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল সংক্রান্ত রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। মঙ্গলবার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ। শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের তরফেও এই সংক্রান্ত একটি আবেদন জানানো হয়। এদিন সেই আবেদনও সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায় যেমন চাকরিহারাদের জন্য বড় ধাক্কা, তেমনই বড় ধাক্কা রাজ্য সরকারের জন্যও। নিয়োগপ্রক্রিয়ায় দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগে এর আগে গত ৩ এপ্রিল এসএসসির ২৬ হাজার (২৫,৭৩৫) চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করে দেয়। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, তথ্য সঠিক না থাকার কারণে যোগ্য এবং অযোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব হয়নি। সেই কারণে পুরো প্যানেলটাই বাতিল করা হচ্ছে। শুধু প্যানেল বাতিল করা নয়, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, নতুন করে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করতে হবে এসএসসি-কে। অযোগ্যদের বেতনের টাকা ফেরত দিতে হবে। ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট এসএসসি মামলার রায় ঘোষণা করেছিল। আর ৩ মে রাজ্য সরকার রিভিউ পিটিশন করতে চেয়ে আবেদন জানায়।
সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছে, এই রায় পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন নেই। রাজ্যের তরফে পুনর্বিবেচনার যে আর্জিগুলি দায়ের করা হয়েছিল, সেই সবকটিই খারিজ করে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। ফলে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরিতে ফের বহাল হওয়ার রাস্তা প্রায় বন্ধ। ২০২৫ সালের ৩ এপ্রিলের রায়ে যে বক্তব্য ছিল, তা পুনরায় উল্লেখ করে বিচারপতিরা জানান, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই ছিল দুর্নীতিগ্রস্ত এবং তা বাতিল করাই ন্যায্য সিদ্ধান্ত।