হাইলাইটস
- এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
- তা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে
- এবার সামনে এল সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারের কপি
এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তা নিয়ে জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। বিচারাধীন কোনও বিষয় নিয়ে কোনও বিচারপতি সংবাদমাধ্যমে ইন্টারভিউ দিতে পারেন না বলে সোমবারই অভিমত প্রকাশ করেন মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের মাননীয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। এবার সামনে এল সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারের কপি।
কী লেখা রয়েছে সেই অর্ডারে ?
- ১) ডক্টর অভিষেক মনু সিংভি- সিনিয়র আইনজীবী আবেদনকারীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন। তিনি ABP আনন্দ নিউজ মিডিয়া চ্যানেলে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারের অনুবাদের প্রতিলিপি জমা করেছেন। অনুবাদের একটি অনুলিপি স্পেশাল লিভ পিটিশনের অ্যানেক্সার P-7 এ সংযুক্ত করা হয়েছে।
- ২) কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ব্যক্তিগতভাবে যাচাই করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে তিনি উপরে উল্লিখিত এবিপি আনন্দের মিস্টার সুমন দে সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কিনা। রেজিস্ট্রার জেনারেল ২৭ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে বা তার আগে এই আদালতে একটি হলফনামা দাখিল করবেন।
- ৩) ২৮ এপ্রিল ২০২৩-এ স্পেশাল লিভ পিটিশনের তালিকা তৈরি করুন। [পশ্চিমবঙ্গ বনাম সৌমেন নন্দী এবং অন্যান্যদের সেখানে সংযুক্ত করুন]।
- ৪) পরবর্তী কোনও নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ১৭ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাই বহাল থাকবে।
মঙ্গলবার মাননীয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এজলাসে জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারের কপি আপলোড হলেই তিনি উত্তর দেবেন।
মঙ্গলবার দুপুর ২টোর সময় এজলাসে আসেন মাননীয় বিচারপতি। সেখানে বসেই তিনি ঘোষণা করেন, ‘‘শুনছি কেউ কেউ রটাচ্ছে আমি নাকি ইস্তফা দিচ্ছি...! আমি পদত্যাগ করছি না। যে লড়াই শুরু হয়েছে। সেই লড়াই চলবে।’
মাননীয় বিচারপতি এও বলেন, 'আমি থাকি, বা না-থাকি, লড়াই চলবে। কোনও মানুষ সারা জীবন পদে থাকেন না। আমার বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির কাছে বেশ কিছু আইনজীবী ভুল বোঝাচ্ছেন।'