'বর্তমান রাজ্যপালের কাছ থেকে গোপালকৃষ্ণ গান্ধী বা জগদীপ ধনখড়ের মতো ভূমিকা এখনও পর্যন্ত দেখতে পাইনি', মঙ্গলবার ফের একবার নিজের এই মন্তব্যেই অনড় রইলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রিষড়ার ঘটনার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই নিজের কড়া মনোভাব স্পষ্ট করেছেন রাজ্যপাল। এমনকী এদিন ঘটনাস্থলও ঘুরে দেখেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "আমি সক্রিয় রাজনীতি বা জনপ্রতিনিধি হিসেবে পশ্চিমবাংলায় অনেক রাজ্যপালকে দেখেছি। তাঁরা প্রত্যেকে স্মরণীয়, বরণীয়, অত্যন্ত সম্মানীয় ব্যক্তি। কিন্তু এই ধরনের পরিবেশ পরিস্থিতিতে গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর ভূমিকা এবং পরবর্তীকালে জগদীপ ধনখড়ের ভূমিকা আমি আজকের দিনে স্মরণ করতে চাই। বর্তমান রাজ্যপালের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত গোপালকৃষ্ণ গান্ধী বা জগদীপ ধনখড়ের যে ভূমিকা, সেই রকম ভূমিকা আমি ব্যক্তিগতভাবে দেখতে পাইনি। এই মন্তব্য আগেরদিনও করেছিলাম, আজকেও আমার মন্তব্যে আমি অনড় আছি"।
শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, "আমি চাই সাংবিধানিক প্রধান তাঁর সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই সরকারের কাছ থেকে রিপোর্ট না চেয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দিল্লিকে জানাক। অবিলম্বে শিবপুর থানা, রিষড়া থানা, এই দুটোকে সেকশন ৩৫৫-এর অধীনে উপদ্রুত ঘোষণা করা হোক এবং সেখানকার থানাগুলির নিয়ন্ত্রণ একমাসের জন্য সেন্ট্রাল প্যারামিলিটারি ফোর্স সিআইএসএফ বা সিআরপি-র হাতে তুলে দেওয়া হোক। এই রেকমেন্ডশানটা রাজ্যপাল মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবিলম্বে করুন। তাহলে বলব শুধুমাত্র প্রেস বাইট দেওয়ার জন্য নয়, মাননীয় গভর্নরও গোপালকৃষ্ণ গান্ধী, জগদীপ ধনখরের মতো কিছু করে দেখাতে চাইছেন পশ্চিমবাংলার রাষ্ট্রবাদীদের বাঁচানোর জন্য"।
এদিন দুপুরেই রিষড়ায় যান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। সেখানে গিয়ে ৪ নং রেলগেট অঞ্চলও ঘুরে দেখেন তিনি। কথা বলেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগির সঙ্গে। বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি কেমন, সেই বিষয়ে খোঁজখবর নেন। এরপর তিনি যান এসএসকেএম হাসপাতাল। সেখানে রিষড়ায় আহত এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন। দুষ্কৃতীদের শাস্তি হবে বলেও এদিন জানান সি ভি আনন্দ বোস।
আরও পড়ুন - রিষড়ার আহতকে দেখতে SSKM-এ রাজ্যপাল, দেওয়া হল আর্থিক সাহায্যও