অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভার আগে শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল। বোমার শব্দে কেঁপে উঠেছিল ভূপতিনগর থানার অর্জুননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাড়য়াবিলা গ্রাম। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে এনআইএ তদন্ত চাইলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ওই ঘটনায় NIA-তদন্তের দাবি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিলেন তিনি।
শাহের উদ্দেশে শুভেন্দু চিঠিতে জানিয়েছেন, বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন তিনি। তাই বাধ্য হয়ে এই চিঠি লিখছেন। টুইট করে ওই চিঠি কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। তিনি লিখেছেন, তৃণমূল নির্লজ্জভাবে পশ্চিমবঙ্গে বোমা তৈরিকে একটি কুটির শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
আগেই এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি করেছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুও একই দাবিতে চিঠি লিখলেন।
বিজেপির দীর্ঘদিনের অভিযোগ তৃণমূলের (Trinamool Congress) অনুমোদনে রাজ্যে 'বোমা শিল্প' বেড়েছে। এবং আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এলাকায় এলাকায় বোমা মজুত করা হচ্ছে।
শুভেন্দুর দাবি, বোমা বাঁধতে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না সহ তিনজনের। বিস্ফোরণে তৃণমূল নেতার বাড়ি উড়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের, গুরুতর জখম হয়েছেন ২ জন। শুধু শুভেন্দু নয়, শাসক দলের দিকে আঙুল তুলেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তিনি দাবি করেছেন, বারবার বিস্ফোরণের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের।
শুক্রবার রাতেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঝলসে যাওয়া দেহগুলো উদ্ধার হয় ওই তৃণমূল নেতার বাড়ির অদূরেই। রাজকুমারের স্ত্রী জানিয়েছেন, রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা মৃতদেহগুলি বের করে নিয়ে গিয়েছে। রাজকুমারের দুই ভাই বিশ্বজিৎ গায়েন ও লালুর মৃত্যু হয়েছে। এই বোমাগুলি কেন বাঁধা হচ্ছিল, আর কারা এর সঙ্গে যুক্ত ছিল, তা জানতে তদন্ত করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বগটুই কাণ্ড : ৯ মাস পর CBI-এর জালে ভাদুর ছায়াসঙ্গী লালন শেখ