হাইলাইটস
- শুভেন্দু অধিকারীকে সন্দেশখালি যেতে দেওয়ার নির্দেশ
- তিনি শঙ্কর ঘোষকে নিয়ে যেতে পারবেন সন্দেশখালি
- পুলিশ অফিসারকে কেউ মন্তব্য করেনি, জানালেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, এটা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সস্তার রাজনীতি করছেন।
- সন্দেশখালিতে তৃণমূল সভা করলে পাল্টা সভা করবে বিজেপি, ঘোষণা শুভেন্দুর
- শাহাজাহানের বিরুদ্ধে লড়াই হবে তো? সন্দেশখালিতে মহিলাদের জিজ্ঞেস করলেন শুভেন্দু।
- সন্দেশখালির বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলছেন শুভেন্দু অধিকারী
- সন্দেশখালিতে শুভেন্দু, টোটোয় এলাকা ঘুরছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেখানকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন শুভেন্দু।
- সন্দেশখালির মহিলারা শাহজাহানের ফাঁসি চাইছেন, দাবি শুভেন্দুর
- সন্দেশখালি পৌঁছলেন শুভেন্দু অধিকারী, সঙ্গে শঙ্কর ঘোষও
- শুভেন্দু অধিকারীকে সন্দেশখালি যাওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। প্রধান বিচারপতি এই নির্দেশ দেন। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ, শুভেন্দু অধিকারী ও শঙ্কর ঘোষকে সন্দেশখালি যেতে পারবেন। তবে আর কোনও প্রতিনিধি যেতে পারবেন না। প্রধান বিচারপতি এদিন, সন্দেশখালির মহিলাদের অবস্থা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তাঁর পর্যবেক্ষণ, সন্দেশখালি নিয়ে এত খবর সামনে আসছে। সেখানকার আদিবাসীদের অবস্থা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন।
- এদিকে কলকাতা হাইকোর্ট অনুমতি দিলেও শুভেন্দু অধিকারীকে এখনও ধামাখালি থেকে পথ ছাড়েনি পুলিশ। পুলিশের দাবি, তাদের কাছে এখনও নির্দেশের কপি আসেনি। সেই কারণে, তাদের তরফে ছাড়া হচ্ছে না। তবে কিছুক্ষণ পরই পুলিশ ছেড়ে দেয় শুভেন্দু অধিকারী ও শঙ্কর ঘোষকে।
- এদিন পুলিশ প্রথনে আটকে দেয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। ধামাখালিতে ফের আটকানো হল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। যা নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। এই নিয়ে তিনবার শুভেন্দুকে আটকাল পুলিশ। তিনি অভিযোগ করেন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়ে তিনি সন্দেশখালি যাচ্ছেন। অথচ পুলিশ তাঁকে আটকে দিল। রাজ্যের পুলিশ আসলে হাইকোর্টের রায়কে অমান্য করছে।
পুলিশ আটকানোর পর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পুলিশকে জানান, 'আপনারা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করছেন। ডিভিশন বেঞ্চ এখনও কোনও নির্দেশ দেয়নি। তাহলে আটকানো হচ্ছে কেন ? আমরা আইন মেনে চলা নাগরিক। কোর্ট যে অর্ডার দিয়েছে, সেখানে পরিষ্কার উল্লেখ যে আমাদের যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার অর্ডার আলাদা আর ১৪৪ ধারার অর্ডার আলাদা, তাহলে আমাকে আটকাচ্ছেন কেন? আপনারা নতুন করে সকাল ৯ টা থেকে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। তারসঙ্গে আমার সন্দেশখালি যাওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। এটা আপনি আমাকে আটকাচ্ছেন না। আপনি কোর্টের নির্দেশকে মানছেন না। আমরা এখানে এক ঘণ্টা বসে থাকব। যদি যেতে না দেন তাহলে আমরা চলে যাব হাইকোর্টে। আমার ও শঙ্কর ঘোষের যাওয়ার কথা আছে। কোর্টের নির্দেশে তা উল্লেখ আছে।'
একথা বলার পরই শুভেন্দু বসে পড়েন রাস্তায় তিনি 'সন্দেশখালি জ্বলছে, মমতা হাসছে' স্লোগান দিতে শুরু করেন। যদিও পুলিশ সেই সময়ও ঘিরে ছিল শুভেন্দু ও তাঁর দলেরপ সদস্যদের।
এদিন রওনা হওয়ার আগে শুভেন্দু অধিকারী আজতককে বলেন, তিনি আশঙ্কা করছেন, পুলিশ তাঁকে আবারও থামাখালিতে পারে৷ শুভেন্দু আধিকারী দাবি করেছেন, তাঁকে আটকাতে রাজ্য একক বেঞ্চের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যেতে পারে। তিনি এটাও জানান, আমরা সন্দেশখলাই যাব এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করব।
আরও পড়ুন
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি যাবেন সেকথা গতকাল সোমবারই জানিয়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি-র পাঁচ বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, বিশাল লামা, অগ্নিমিত্রা পল, সুমিতা সিনহা রায় ও তাপসী মণ্ডলরাও রয়েছেন শুভেন্দুর সঙ্গে। সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারির উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে সন্দেশখালি যেতে বাধা নেই বিজেপি বিধায়কদের। সন্দেশখালির পথে রওনা দেন সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাটও। তবে তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। তিনিও অভিযোগ করেন, তাঁকে পুলিশ অন্যায়ভাবে যেতে দেয়নি।