বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে এ রাজ্যে প্রতিবাদ করছে বিজেপি। শাসক দল মনে করছে, এটা মেরুকরণের কৌশল। গেরুয়া শিবিরের নাম না করে সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,'একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে ফেক ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে। যাঁরা ভাবছেন এই সুযোগে রাজনৈতিক লাভ হবে, তাঁরা জানবেন এতে ক্ষতিই হবে আপনাদের'। তার পাল্টা বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের শুভেন্দু অধিকারী বলেন,'কে অপ্রচার করছে? মন্দিরে হামলা হচ্ছে, এটা মিথ্যা?'
সোমবার বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মমতা বলেন, 'বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর যে হামলা হচ্ছে, তা দুঃখজনক। একটি রাজনৈতিক দলের তরফে ভুয়ো ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে'। সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিক্রিয়া,'কে অপ্রচার করছে? চিন্ময়কৃষ্ণু প্রভুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা কি অপপ্রচার? চট্টগ্রাম, রংপুর জুড়ে মন্দিরে মন্দিরে হামলা হয়েছে। এটা অপপ্রচার? সুনামগঞ্জে ১৩০টি দলিত পরিবারের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হল। এটা কি মিথ্যা? ইসকনের গোশালায় ঢুকে গরুগুলিকে পিটিয়ে মারছে। এটা মিথ্যা? গোপালগঞ্জে সব হিন্দুরা পালাল। এটা মিথ্যা? এক প্রতিবন্ধী হিন্দু পালাতে পারেননি বলে তাঁকে পুড়িয়ে দেওয়া হল। এই ছবি মিথ্যা? রাধামাধবের মূর্তি ভাঙা হল। এটা মিথ্যা?'
তাঁর আরও সংযোজন,'বাংলা, বিহার, ওডিশা দখল করব বলছে, এটা মিথ্যা? ভারতীয় শাড়়ি পোড়াচ্ছে। এটা মিথ্যা? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে মিথ্যা হলেও এটা পৃথিবীর কাছে চরম সত্যি'।
চিন্ময় কৃষ্ণকে নিয়ে শুভেন্দু বলেন,'যতদিন পারেন জেলে রাখুন, চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভু মাথা নীচু করার লোক নয়। চিন্ময় কৃষ্ণ কারাগারে থাকলে বাইরে কোটি কোটি চিন্ময় প্রভু তৈরি হবে। এ দেশে কাসভের হয়েও আইনজীবীরা দাঁড়িয়েছিলেন। চিন্ময়প্রভুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ না থাকলেও আইনজীবী পাওয়া যাচ্ছে না। আইনজীবী রমেন রায়কে মৃত্যুর পথে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে কোনও গণতন্ত্র ও সংবিধান নেই'।
বিশ্বের নজর বাংলাদেশে দেওয়া উচিত বলে মনে করেন বিরোধী দলনেতা। বলেন,
'মৌলবাদীদের হাতে রাষ্ট্রযন্ত্র চলে গিয়েছে। লাদেন ও হামাস প্রধানের যে হাল হয়েছে, বাংলাদেশের মৌলবাদী শক্তিকে শিকড় থেকে উপড়ে ফেলে দেওয়া হবে'।