'বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে'। হরিয়ানায় বিজেপির পালে হাওয়া টানতে বড় ভূমিকা নিয়েছিল যোগী আদিত্যনাথের এই বার্তা। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের কথা মনে করিয়ে প্রতিটি সভাতেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলে গিয়েছেন,'বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে'। যার বাংলায় সারমর্ম, হিন্দু সমাজে বিভাজন হলে অস্তিত্ব থাকবে না। সেই 'মন্ত্র'ই এবার শোনা গেল এ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মুখেও। অমিত শাহের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন,'পশ্চিমবঙ্গকে দ্বিতীয় বাংলাদেশ হতে দেব না। বাটেগা তো কাটেগা'।
বাংলায় সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটের দিকেই নজর শুভেন্দু অধিকারীর। একাধিকবার তাঁর কথায় তা স্পষ্টও হয়েছে। এ দিনও হিন্দুত্বের অস্ত্রেই শান দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। বলেন,'কতগুলি দুর্গামূর্তি ভেঙেছে জানেন তো? শ্যামপুরে ভেঙেছে। বাউড়িয়ায় ঢিল মেরেছে। গার্ডেনরিচ, ডালখোলায় দুর্গামণ্ডপে ঢুকেছে, আমরা ছাড়ব না'।
বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ঘটনা ক্রমবর্ধমান। সেই প্রসঙ্গও তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়,'পশ্চিমবঙ্গকে দ্বিতীয় বাংলাদেশ হতে দেব না। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় হিন্দুদের জন্য এই পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে গিয়েছেন। এখানে অন্য কিছু করতে দেব না। হরিয়ানা দেখিয়ে দিয়েছে। হরিয়ানায় স্লোগান ছিল, বাটেগা তো কাটেগা। এক রহেগা তো নেক রহেগা'। তিনি যোগ করেন,'২৬-এ বাংলায় জয় হবে। ২৬-এ জিততে হবে। তার আগে ঝাড়খণ্ডে জেতাতে হবে। সেখানে ৫০ লক্ষ বাঙালি থাকেন। মা-বোনদের সম্মান আমরাই রক্ষা করব'।
এই বাংলায় ৮০ শতাংশ হিন্দুকে এক করে এই জঙ্গলরাজকে খতম করতে হবে বলে আগামীর রণনীতিও স্পষ্ট করে দিয়েছেন শুভেন্দু। এটা কি আদৌ সম্ভব? নন্দীগ্রামের নজির তুলে ধরেছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর মন্তব্য,'নন্দীগ্রামে আমায় পার্টি লড়িয়েছিল মমতাকে হারাতে। আমি ২০২১ সালে ৬৫ শতাংশ হিন্দুকে এক করেছিলাম। ১৯৫৬ ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছিলাম। এবার ৭২ শতাংশ হিন্দুকে এক করেছি নন্দীগ্রামে। ৮২০০ ভোটে এগিয়েছিলেন আমাদের প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়'।