scorecardresearch
 

Suvendu Adhikari: 'নবান্নটাকে ৩ ঘণ্টা ঝাঁকিয়ে দিয়েছে,' অভিযানকে 'কুর্নিশ' শুভেন্দুর

নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি হাওড়া ও কলকাতায়। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে দিনভর তৎপর ছিল পুলিশ। চলছে লাঠিপেটা। কাঁদানে গ্যাস। জলকামান। আহত দু’পক্ষই। সব থেকে খারাপ পরিস্থিতি হাওড়া ময়দান, হাওড়া স্টেশন চত্বরে। একদিকে যেমন পুলিশ লাঠিপেটা করছে। পাল্টা আবার তাঁদের আটকাতে ইট ছুড়ছে ক্ষিপ্ত জনতা।

Advertisement
নবান্ন অভিযানকে কুর্নিশ শুভেন্দুর। ফাইল ছবি নবান্ন অভিযানকে কুর্নিশ শুভেন্দুর। ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি হাওড়া ও কলকাতায়।
  • জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে দিনভর তৎপর ছিল পুলিশ।

নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি হাওড়া ও কলকাতায়। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে দিনভর তৎপর ছিল পুলিশ। চলছে লাঠিপেটা। কাঁদানে গ্যাস। জলকামান। আহত দু’পক্ষই। সব থেকে খারাপ পরিস্থিতি হাওড়া ময়দান, হাওড়া স্টেশন চত্বরে। একদিকে যেমন পুলিশ লাঠিপেটা করছে। পাল্টা আবার তাঁদের আটকাতে ইট ছুড়ছে ক্ষিপ্ত জনতা। প্রত্যেকের এক দাবি ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ’। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বললেন, 'ছাত্রদের এই আন্দোলনকে স্যালুট জানাই।'

শুভেন্দুর কথায়, 'কোনও রাজনৈতিক ক্ষমতা ছাড়াই, নেতৃত্ব ছাড়াই তাঁরা যেভাবে লক্ষ্যে অবিচল থেকে অর্জুনের লক্ষ্যভেদের মতো খালি হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে আজকে নবান্নটাকে নাড়িয়েছে। তিনঘণ্টা ধরে ঝাঁকিয়েছে। হ্যাটস অফ। আমি এবং আমার সহযোগীরা চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি। কিছু গুরুতর আহত রয়েছে। কিছু প্রাইভেট হাসপাতালে তাদের ভর্তির ব্যবস্থা করছি। কিছু গ্রেফতার হয়েছে, তাঁদের আইনি সাহায্য আমরা করব। পুলিশ লাঠি, গ্যাস, জলকামান প্রয়োগ করেছে। ভয়ে গুলি করতে পারেনি। গুলি করল বন্দুক কেড়ে নিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিত। ওদের টিয়ার গ্যাসের সেল এবং জল কামানের জল ফুরিয়ে গেছে। নবান্নের গেটে গিয়ে বলে এসেছে, দফা এক দাবি এক মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। এর বাইরে কিছু হয় না।'

শুভেন্দু আরও বলেন, 'আমরা প্রথম দিন থেকে নৈতিকভাবে এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছি। আমরা শুধু সাহায্য করেছি। প্রচুর অভিভাবকরাও এসেছেন। তাঁরা রাজনৈতিক রঙ ভুলে এসেছেন। কারও বাবা, কারও দাদা। আমার বোনের ধর্ষক খুনিদের ফাঁসির দাবিতে তাঁরা এসেছেন।'

আরও পড়ুন

পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ব্যানারে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল এদিন। কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল শুরু হলেও তা ধীরে ধীরে এগোতে থাকে নবান্নে দিকে। আর আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে মরিয়া হয়ে ওঠে পুলিশও। প্রথমে বোঝানো হয় আন্দোলকারীদের। তরপরও কথা না শোনায়, সেল ফাটানো হল কাঁদানে গ্যাসের, ছোড়া হল জল কামান। সবমিলিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। আহত হন পুলিশকর্মী ও আন্দোলনকারীরা। 

Advertisement

 

Advertisement