scorecardresearch
 

Suvendu Adhikari : সিদ্দিকুল্লার লাগে না, তাহলে হিন্দু সন্ন্যাসীদের সভা করতে অনুমতি কেন নিতে হবে : শুভেন্দু

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে হিন্দু সন্ন্যাসীরা জমায়েত করছেন রানি রাসমণি রোডে। তবে সেই সভা করার জন্য সন্ন্যাসীদের হাইকোর্টের অনুমতি নিতে হয়েছে। দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

Advertisement
Suvendu Adhikari Suvendu Adhikari
হাইলাইটস
  • রানি রাসমণি রোডে সভা করার জন্য সন্ন্যাসীদের হাইকোর্টের অনুমতি নিতে হয়েছে
  • অথচ তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভা করার জন্য অনুমতি কেন লাগে না? প্রশ্ন শুভেন্দুর

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে হিন্দু সন্ন্যাসীরা জমায়েত করছেন রানি রাসমণি রোডে। তবে সেই সভা করার জন্য সন্ন্যাসীদের হাইকোর্টের অনুমতি নিতে হয়েছে। দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেল বা মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর মাদ্রাসার সভা কোনওরকম বাধা ছাড়া করতে পারেন, কিন্তু হিন্দুদের সভা করার জন্য এই রাজ্যে হাইকোর্টের অনুমতি নিতে হয়। রাজ্য সরকার কেন সভার অনুমতি দেয় না, এই প্রশ্ন তুললেন শুভেন্দু অধিকারী। 

এদিন শুভেন্দু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, এরাজ্যে সন্ন্যাসীদের সভা করার জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হয়। মহামান্য আদালত অনুমতি দেয় তারপরই তারা সভা করার অনুমতি পান। এটা দুর্ভাগ্যের। তাঁর কথায়, 'এই সভাতে প্রতিটি হিন্দুর যাওয়া উচিত। দল-মত নির্বিশেষে সভায় যোগ দেওয়া দরকার। এটা কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। আমিও যাব। বাংলাদেশে হিন্দুরা অত্যাচারিত হচ্ছেন। তাঁরা কাঁদছেন। তাঁদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।' 

তারপরই শুভেন্দুর সংযোজন, 'সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হল রানি রাসমণিতে গত ২৯ তারিখে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী মাদ্রাসার ছাত্রদের নিয়ে সভা করেন। তার জন্য তাঁকে হাইকোর্টে যেতে হয়নি। ৩১ তারিখ ফিরহাদ হাকিম বা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলকে দিয়ে মিটিং করায়। সেদিনও অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন পড়েনি। তবে আজ হিন্দু সন্ন্যাসীদের সভা করার জন্য হাইকোর্টের অনুমতি নিতে হয়েছে। তবেই সন্ন্যাসীরা সভা করতে পারছেন। ওপারে ইউনুস যাহা এপারে মমতা তাহা।' 

আরও পড়ুন

গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসেন শেখ হাসিনা। তারপর থেকে অরাজকতা চলছে সেই দেশে। হিন্দু তথা সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বাড়ছে। হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাংলাদেশে আন্দোলনও করছেন হিন্দুরা। ইউনূস সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তাঁরা। তা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানকে বাংলাদেশ থেকে তাড়াতে দেড় বছর সময় লেগেছিল। হাসিনার ভারত আসা সবে চারমাস হয়েছে। আগামী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে। তাহলেই ছবিটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। সেদেশে সন্ত্রাসবাদীরা রাজত্ব করছে। তাদেরও উৎখাত করা হবে।  
 

Advertisement

 

Advertisement