Suvendu Adhikary On SSC Recruitment Scam: 'SSC-র যোগ্যদের কেন ফের পরীক্ষা দিতে হবে?', সুপ্রিম নির্দেশ মেনেও প্রশ্ন শুভেন্দুর

Suvendu Adhikary On SSC Recruitment Scam: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করেন বিরোধী দলনেতা। তার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, "যখন তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৭ হাজার অযোগ্য চিহ্নিত করেছিলেন। ২৬ হাজারের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেননি। এই মুখ্য়মন্ত্রী তাঁর দম্ভ-অহঙ্কার নিয়ে এবং ভাইপোর নেতৃত্বে টাকা তোলা হয়েছিল তাই, এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর গোঁ ছিল তাঁরা অযোগ্যদের চাকরি দেননি।

Advertisement
'SSC-র যোগ্যদের কেন ফের পরীক্ষা দিতে হবে?', সুপ্রিম নির্দেশ মেনেও প্রশ্ন শুভেন্দুর'SSC-র যোগ্যদের কেন ফের পরীক্ষা দিতে হবে?', সুপ্রিম নির্দেশ মেনেও প্রশ্ন শুভেন্দুর

Suvendu Adhikary On SSC Recruitment Scam: সুপ্রিম কোর্ট School Service Commission‑এর (SSC) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ‘অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা’ প্রকাশ না করায় কড়া মন্তব্য করে SSC‑কে অবিলম্বে ৭ দিনের মধ্যে সেই তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন। ২  সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা জমা দিতে বলেছে। এই নির্দেশ আসার পরই সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

তিনি বৈঠকে বলেন, "২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের নিয়ে। যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশে অনেকবার দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। বিকাশ ভবনে যেদিন চাকরিহারাদের উপর লাঠিচার্জ হয় তার পরদিন পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছি। যখন যেমন সুযোগ পেয়েছি তেমন করে পাশে দাঁড়িয়েছি। কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করেও সমর্থন জানিয়েছি। যুব মোর্চাও একাাধিক কর্মসূচি নিয়েছি। পরীক্ষা হবে। একজনও অযোগ্য থাকবে না। আমাদের এই দাবি দীর্ঘদিনে। তাঁরা চাকরি দিতে চান না। তাঁরা ভাতাতে বিশ্বাস করেন। মেলা-খেলা করতে ভালবাসেন। পার্ট টাইমার দিয়ে কাজ চালাচ্ছেন সামান্য বেতনে। তাতে কারও সংসার চলে না, স্থায়িত্বও নেই।" শুভেন্দুর দাবি।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করেন বিরোধী দলনেতা। তার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, "যখন তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৭ হাজার অযোগ্য চিহ্নিত করেছিলেন। ২৬ হাজারের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেননি। এই মুখ্য়মন্ত্রী তাঁর দম্ভ-অহঙ্কার নিয়ে এবং ভাইপোর নেতৃত্বে টাকা তোলা হয়েছিল তাই, এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর গোঁ ছিল তাঁরা অযোগ্যদের চাকরি দেননি। তাই ২০২২ থেকে ২০২৫ এর শেষ পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরি আছে। ৩১ ডিসেম্বরের পরে কারও আর চাকরি থাকবে না।২০২২ সালে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের অর্ডারেই সিলমোহর পড়ল। রাজ্য সরকার যোগ্য়দের তালিকা দেননি বলেই অনেককে আমরা অকালে হারিয়েছি। ৭ জানুয়ারি ২০২৫ এ শেষ সুযোগ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।"

৩১ ডিসেম্বর বিজেপির কিছু নেতা এসএসসির কাছে গিয়েছিলাম। এসএসসির চেয়ারম্যান দেখা করেননি। সেক্রেটারি দেখা করেন। আমরা বলি, পুড়িয়ে ফেলেছেন, নষ্ট করেছেন, যাই করুন ডিভাইস থেকে ওএমআর বের করে দিয়েছিল। আমরা বলেছি, অনেকে বলেছেন, কিন্তু করেননি। এখন যাওয়ার কোনও রাস্তা নেই। ২ তারিখ এসে গেল। এতে প্রমাণিত হবে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়দের সরকার অযোগ্যদের চাকরি দেয়।

Advertisement

তিনি মুখ্য়মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করবেন বলেও জানান। যোগ্যরা কেন পরীক্ষা কেন দেবে? অযোগ্যরা বেরিয়ে গেলেই বাকিরা যোগ্য। যোগ্যদের কেন নতুন করে পরীক্ষা দিয়ে আসতে হবে। ১০ বছর পর এটা হওয়া উচিত নয়। যদিও এই সরকারকে বিশ্বাস নেই, সুপ্রিম কোর্টকেও অগ্রাহ্য করার প্রবণতা আছে। পদত্যাগ করে নির্বাচনে যান। কিসের ভিত্তিতে অযোগ্যদের চাকরি দিয়েছেন, তা প্রকাশের দাবি করছি। 
 

 

POST A COMMENT
Advertisement