জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মালবাজারে (Malbazar) বিসর্জনের সময় হড়পা বানে (Flash Flood) ভেসে একাধিক মৃত্যুর ঘটনার পরও রাজ্যে দুর্গাপুজোর বিসর্জনের কার্নিভাল (Durga Puja Carnival) কেন চলছে, প্রশ্ন তুলে রাজ্যকে অসংবেদনশীল (Insensitive) বলে আক্রমণ করলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ( Bjp Mla Suvendu Adhikary)। পাল্টা শুভেন্দুকে দায়িত্বজ্ঞানহীন ও পাল্টিবাজ ছোকরা বলে তোপ তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh)। ফলে কার্নিভালের আগেও বিতণ্ডায় জড়ালেন দুই যুযুধান দলের সামনের সারির দুই নেতা।
আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়িতে বনেদি বাড়ির পুজো থেকে নদী বাঁচানোর বার্তা বব বিশ্বাসের
এ জন্যই উত্তরবঙ্গ পৃথক রাজ্যের দাবি তোলে দাবি শুভেন্দুর
এদিন শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকারি পয়সায় কার্নিভাল করছে। যা বন্ধ হওয়া উচিত। মালবাজারের ঘটনার পর রাজ্যের কার্নিভাল বন্ধ রাখা উচিত ছিল বলে দাবি করেন। তিনি রাজ্যকে তীব্র আক্রমণ শাণিয়ে বলেন, "এটা উত্তরবঙ্গের ঘটনা। তাই রাজ্য এটাকে গুরুত্ব দেয়নি। রাজ্য় উত্তরবঙ্গের ব্যপারে অসংবেদনশীল। তাই এ কারণেই উত্তরবঙ্গের মানুষ রাজ্যের সঙ্গে নিজেদের বিচ্ছিন্ন মনে করে। আলাদা রাজ্যের মতো দাবি বারবার উঠে আসে।" শুভেন্দুবাবুর আরও দাবি, রাজ্যের উচিত ছিল অবিলম্বে বিসর্জনের কার্নিভাল বন্ধ করা। সরকারি পয়সা খরচ করে কার্নিভালের কোনও যুক্তি নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কুণালের পাল্টা তোপ
যা শোনার পরই কার্যত তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন কুণাল ঘোষ। তিনি শুভেন্দুর মন্তব্যকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মন্তব্য করেন। তিনি শুভেন্দুর উদ্দেশ্য়এ পাল্টা আক্রমণ শাণান। তিনি বলেন, " শুভেন্দু একজন পাল্টিবাজ ছোকরা। এর আগে কার্নিভালের সঙ্গে ও নিজেই যুক্ত ছিল। এখন বিজেপিতে গিয়ে বড় বড় কথা বলছে।" তিনি আরও জানান, জলপাইগুড়ির মালবাজারের ঘটনা দুঃখজনক। রাজ্য সে বিষয়ে যা করার তা করছে। দায়িত্ব পালন করছে। জলপাউগুড়িতে কার্নিভাল বন্ধ রাখা হয়েছে। তাছাড়া উত্তরবঙ্গের সর্বত্র কার্নিভাল হয়েছে সুষ্ঠুভাবেই। ফলে কলকাতার কার্নিভাল বন্ধ রাখতে বলার পিছনে রাজনৈতিক গাত্রদাহ ছাড়া আর কিছু নেই বলে তাঁর দাবি।
আরও পড়ুনঃ হার্ট অ্যাটাক হতে চলেছে, ৭ দিন আগেই ইঙ্গিত দেয় শরীর
জলপাইগুড়ির মালবাজারে দশমীর দিন স্থানীয় মাল নদীতে বিসর্জন দেখতে গিয়ে আচমকা আসা হড়পা বানে ভেসে যান বহু মানুষ। অনেককে উদ্ধার করা গেলেও ৮ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। যার পর এলাকা তো বটেই গোটা রাজ্যে শোকের আবহ ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের পালা চলছে। বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল এলাকায় গিয়ে খতিয়ে দেখেন। প্রশাসনের গাফিলতির দিকে আঙুল তুলেছেন স্থানীয়দেরও অনেকে। মৃতদের আত্মীয়দেরও অভিযোগ সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছিল না। মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। যদিও ঘটনার কয়েকদিন পরও বিষয়টি যে ঠান্ডা হয়নি, বরং উত্তাপ বেড়ে চলেছে তা প্রমাণিত হচ্ছে বারবার।