
Swasthya Sathi : স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে এদিন বিধানসভায় বক্তব্য রাখলেন অর্থ ও স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বিগত কয়েকদিন স্বাস্থ্যসাথী ইস্যুতে একাধিক অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। এদিন স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দিলেন রাজ্যের অর্থ ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। শুধুমাত্র রাজ্যের হাসপাতাল নয় ভেলোরের ক্রিশ্চান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও চলতি আর্থিক বছরে প্রায় আট হাজার মানুষ স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পেয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
কী জানালেন চন্দ্রিমা
বিধানসভায় আজ ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাপ্রপ্রিয়েশন বিলের ওপর আলোচনা শেষে জবাবী ভাষণে তিনি জানান, ২০১৬ সালে রাজ্য স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত রাজ্যের ২ কোটির বেশি পরিবার এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেছে। সুবিধা পেয়েছেন ২৪ লক্ষ ৮৫ হাজার মানুষ। তাঁদের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে।
২০২০-র ডিসেম্বরে সিএমসি ভেলোরের সঙ্গে রাজ্যের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তার পরে এ পর্যন্ত রাজ্যের ৭,৬২০ জন রোগী ভেলোরে চিকিৎসা করিয়েছেন, যার জন্য ব্যয় হয়েছে ৮৭ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা। চলতি বছরে আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে স্বাস্থ্য সাথী পরিষেবা দিতে বাজেটে আড়াই হাজার কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
একনজরে স্বাস্থ্যসাথী
প্রসঙ্গত, বাংলার সমস্ত মানুষকে নিখরচায় সার্বিক স্বাস্থ্য পরিষেবার আওতায় আনতে রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী বা যে কোনও কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারি হেলথ কার্ড সঙ্গে থাকা বাধ্যতামূলক করেছে স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বা কেন্দ্রের সিজিএইচএস কার্ড অথবা ইএসআই কার্ড দেখাতে হবে। কারও কাছে যদি হাসপাতালে ভর্তির সময় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকে, তাহলে আধার নম্বর দিয়ে স্বাস্থ্য কার্ড সংক্রান্ত তথ্য জানিয়ে ভর্তি হওয়া যাবে। এছাড়াও রাজ্য সরকার অথবা, সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের তরফেই রোগীর পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরি করে দেওয়া হবে।