Sweta Chakraborty: মডেলিং-ছবি করতেন শ্বেতা, পারিশ্রমিক হিসেবেই গাড়ি দিয়েছিল 'মামা' অয়ন

সিনেমা প্রযোজনার কোনও ইচ্ছেই ছিল না চাকরি দুর্নীতি চক্রের অন্যতম চাঁই অয়ন শীলের। বান্ধবীকে তারকা বানাতেই চাকরি বিক্রির টাকা সিনেমায় ঢেলেছিলেন তিনি। এমনটাই অভিযোগ উঠে আসছে তদন্তে। তাঁর বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি কয়েকটি শর্ট ফিল্মে কাজ করেছিলেন।

Advertisement
মডেলিং-ছবি করতেন শ্বেতা, পারিশ্রমিক হিসেবেই গাড়ি দিয়েছিল 'মামা' অয়নফাইল ছবি।
হাইলাইটস
  • সিনেমা প্রযোজনার কোনও ইচ্ছেই ছিল না চাকরি দুর্নীতি চক্রের অন্যতম চাঁই অয়ন শীলের।
  • বান্ধবীকে তারকা বানাতেই চাকরি বিক্রির টাকা সিনেমায় ঢেলেছিলেন তিনি।

সিনেমা প্রযোজনার কোনও ইচ্ছেই ছিল না চাকরি দুর্নীতি চক্রের অন্যতম চাঁই অয়ন শীলের। বান্ধবীকে তারকা বানাতেই চাকরি বিক্রির টাকা সিনেমায় ঢেলেছিলেন তিনি। এমনটাই অভিযোগ উঠে আসছে তদন্তে। তাঁর বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি কয়েকটি শর্ট ফিল্মে কাজ করেছিলেন। যেগুলির প্রযোজক ছিলেন অয়ন। কিন্তু সেগুলি মুক্তি পায়নি। অয়নের প্রযোজনা সংস্থার নামও জানতেন না তিনি। অথচ স্বীকার করেছেন, পারিশ্রমিক হিসেবে অয়নের থেকে গাড়ি নিয়েছিলেন তিনি।

ইডির দাবি, অয়ন শীলের অ্যাকাউন্ট থেকে শ্বেতা চক্রবর্তীর অ্যাকাউন্টে ৫ দফায় গিয়েছিল ৫৫ লক্ষ টাকা। অয়নের সল্টলেকের অফিসে শ্বেতাকে দেওয়া গাড়ির মানি রিসিট মিলেছে। হন্ডা সিটি কেনার জন্য অয়ন শ্বেতাকে টাকা দিয়েছিলেন বলে ইডি-র দাবি। 

আরও পড়ুন-এ বার পুরসভায় নিয়োগ করবেন DM-রা, নয়া নিয়ম জানালেন মেয়র

সূত্রের খবর, শ্বেতার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে।   ২০১৫ সালের আগে জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মী ছিলেন শ্বেতা। ২০১৫ সালে ব্য়ক্তিগত কারণে ট্রান্সফার নিয়ে বলাগড়ের নিত্য়ানন্দপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েতে যোগ দেন তিনি। অন্য়দিকে ২০১৫ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত এই পঞ্চায়েতেরই কার্যনির্বাহী সহায়ক ছিলেন অয়ন শীল। সূত্রের খবর, সেই সময় থেকেই থেকেই অয়ন-শ্বেতার পরিচয়। কিন্তু, পরবর্তীকালে দুজনেই চাকরি ছেড়ে দেন।       

সূত্রের খবর, কামারহাটির রথতলায় অয়নের ভাগ্নি পরিচয়ে একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন শ্বেতা। কামারহাটি পুরসভার PWD ডিপার্টমেন্টে সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়রের চাকরি করেন শ্বেতা।    

জানা গেছে, অফিসে ইডি তল্লাশিতে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে নাকি স্বেতাই অয়নকে হোয়াটসঅ্যাপে টেক্সট করে লিখেছিলেন, ‘ইডি যাবে। তুমি পালিয়ে যাও। সব সরিয়ে দাও। আমার কথা শোনো।’ সবমিলিয়ে শ্বেতাকে নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধছে। চাকরি বিক্রির টাকা কোথায় কোথায় ঢালা হয়েছে, কে কে যুক্ত তার তল পেতে বেগ পেতে হচ্ছে ইডিকে। কারণ তদন্তে একের পর এক নতুন নাম, নতুন চরিত্র বেরিয়ে আসছে।

Advertisement


 

 

POST A COMMENT
Advertisement